×

আন্তর্জাতিক

যেভাবে বদলে দেয়া হচ্ছে চীনা মুসলিমদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম

যেভাবে বদলে দেয়া হচ্ছে চীনা মুসলিমদের
যেভাবে বদলে দেয়া হচ্ছে চীনা মুসলিমদের

বিশ্ব পরাশক্তির অন্যতম অংশীদার ২য় বৃহত্তম অর্থনীতির চালিকা শক্তি  গণচীন। সামরিকশক্তি আর বাণিজ্য, শিক্ষা-প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হলেও বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি । উইঘুর মুসলিম ক্ষুদ্রগোষ্ঠিকে দমনে নতুন ধরনের কৌশলে বিশ্বব্যাপি দেখা দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

চীনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ জিংজিয়ান যেখানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মুসলিমের বসবাস। বিংশ শতাব্দির শুরুতে তারা আংশিক স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ১৯৪৯ সনে পুরোপুরি চীনের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে গত কয়েক দশকে সেখানে তাদের নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতির ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ।

২০১৮ সালের আগস্টে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এক রিপোর্টে বলা হয় উইঘুর অধ্যুষিত এলাকায় চীন বিশাল অভ্যন্তরীণ ক্যাম্প নির্মাণ করেছে যেখানে প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে আটক করা হয়েছে। তবে চীন সরকার প্রথমে অস্বিকার করলেও পরে এসব স্থাপনাকে পুন:শিক্ষাকেন্দ্র বা প্রি-স্কুল বলে দাবি করছে। জাতীয়ভাবে ৮ % শিক্ষার্থী এসব ক্যাম্পে ভর্তি হলেও মুসলিম এলাকাতে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করা হচ্ছে ১৪৮% হারে। প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে এসব ক্যাম্পের জন্য।

কমিশন রিপোর্টে বলা হয় আটক এসব লোকজনকে আত্নীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করতেও দেয়া হয় না এবং নিরাপত্তায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়।সেখানে তাদেরকে চাইনিস মান্দারিন ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়। ’উন্নত জীবনাচার’ শেখার পাঠ দেয়া হয়। চীনের সংস্কৃতিতে বাধ্য করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ত্যাগ করতে ও সমালোচনা করতে প্ররোচিত করা হয়। চীনের প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের দিক্ষা দেয় হয়। আর এসব বন্দিদের অধিকাংশ হলো অল্প বয়সের বাচ্চারা। এভাবে শিশুদেরকে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে অলাদা করে ফেলা হচ্ছে ফলে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়ে আসছে তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা । এটাকে বিশ্লেষকরা ’কালচারাল জেনোসাইড’ বা সাংস্কৃতিক গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

তবে চীন এটাকে গোষ্ঠিগত পার্থক্যের কারণে সন্ত্রাসী আক্রমণ প্রতিহত করার কৌশল বলছে। এ নিয়ে অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কোন ধরণের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এখনো।

উল্লেখ্য, কাশ্মিরেও এরকম কোন পদ্ধতি অনুসরণের সম্ভাব্যতার বিষয় ভাবছে মোদি সরকার। সেখানে ব্যাপক বাজেট বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রহণ ও অন্যান্য প্রদেশ থেকে হিন্দুজনগোষ্ঠিকে কাশ্মিরে নিয়ে এসে ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যের কথা বলা হচ্ছে ।

নকি/

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App