×

জাতীয়

মডেল প্রাথমিকে ভাঙ্গাঘরে চলছে পাঠদান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০২:০৫ পিএম

মডেল প্রাথমিকে ভাঙ্গাঘরে চলছে পাঠদান
১৯৮৬ সালে নির্মীত টিনশেড চালায় মরিচা ধরেছে। মরিচা ধরা এই টিনশেড চালাঘরের তিনটি শ্রেণিকক্ষ বিভক্ত করা হয়েছে প্লাইউডের বোর্ডে। বিভক্ত করা এসব শ্রেণিকক্ষেই কষ্টে চলে পাঠদান। নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই নাজুক অবস্থা। খোঁজ নিয়ে যানাগেছে- স্থানীয়দের সহযোগীতায় ১৯৬৩ সালে গুরুদাসপুর থানা সদরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ বর্মন। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে প্রথম একটি টিনশেড চালাঘর নির্মীত হয়। আশপাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় তখন থেকেই শিক্ষার্থী সংখ্যা চোখে পরার মতো। দিন বদলের সাথে সাথে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীর চাপ। সেই কথা বিবেচনা করে ২০০০ সালের পর একটি একতলা এবং একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো এবং মডেল বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়ায় শিক্ষার্থী প্রতিবছরই উল্লেখ যোগ্য হারে বাড়ছে। যে ভবন আছে তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। ফলে পুড়োনো টিনশেড চালাঘরেই ঝূঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্র জানায়- বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৭০। ১০টি শাখায় তাদের পাঠদান করতে হয়। মডেল এই বিদ্যালয় ফলাফলে জেলা এবং উপজেলা সেরা হয়েছে বহু বার। তাছাড়া প্রতি বছরই বিদ্যালয়টি শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করে। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা দেওয়া হয়না। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিক ও সজিব জানায়- টিনের চালা ভেদ করে রোদ পরে, আবার বৃষ্টি আসলে পানি। তাছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ায় ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। এতো কষ্টে ক্লাস করা কঠিন হয়ে পরে। সহকারি শিক্ষক আফরোজা সুলতানা ও ইসরাত জাহান জানান- শুধু ভালো ফলাফলেই নয় সাংস্কৃতিতেও সেরা। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা নেই। এই দৈনতার ফলে একসঙ্গে অনেক শিশু নিয়ে পাঠদান করতে হয়। এটা কষ্টসাধ্য ব্যপার। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী বলেন-তাদের এই বিদ্যালয়ে অবকাঠামগত সুবিধা বাড়ালে ফলাফলে আরো ভালো করবে। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন- অবকাঠমগত অসুবিধা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই দ্বিতল ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App