×

অর্থনীতি

প্রতি কেজি পেঁয়াজে লাভ ৭৫-৯৩ টাকা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩২ এএম

পেঁয়াজ সংকটে যখন দেশের মানুষ পুরোপুরি দিশেহারা, তখন পাইকারি বিক্রিতেই প্রতি কেজি পেঁয়াজে লাভ করা হচ্ছে ৯৩ টাকা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়েছে অবিশ্বাস্য এই ‘অতি মুনাফাখোরি’র চিত্র। গতকাল শনিবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের আড়ত পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল। তিনি বলেন, গতকাল অভিযান চলাকালে মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ে পেঁয়াজের ক্রয় রসিদ দেখতে চাওয়া হয়। ক্রয় রসিদ অনুযায়ী, ১৩ নভেম্বর ১৩৭ টাকা ও পরের দিন ১৫৫ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে পেঁয়াজ মজুদ করেছে তারা। অথচ সেই পেঁয়াজই আজ (গতকাল) বিক্রি করছেন ২৩০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতেই লাভ করা হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯৩ টাকা। অথচ পাইকারি বাজারের রীতি হলো, পরিবহন খরচ যোগ করে বাড়তি ২-৪ টাকা লাভ করা। তিনি আরো বলেন, মজুদের মাধ্যমে সংকট সৃষ্টি করে তারা অনৈতিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। আসলে তারা জনগণকে জিম্মি করে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করছে। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা জুলহাস মীর জানান, আগের রসিদ দেখে জরিমানা করা হয়েছে। আগে কম দামে কেনা হলেও গতকাল শনিবার কিনতে হয়েছে ২১০ টাকা দরে। পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ নেই উল্টো ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি। অভিযান চলাকালে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে কারসাজি করা, প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে মেসার্স বদিউজ্জামান এন্ড সন্সকে ২০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার, রিতা মুক্তা বাণিজ্যালয়কে ৩০ হাজার, আজমির ভাণ্ডারকে ২ হাজার, নিউ ভাই ভাই বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকাসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App