×

জাতীয়

পর্দা কেলেঙ্কারি, ১২ জনকে দুদকে তলব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

পর্দা কেলেঙ্কারি, ১২ জনকে দুদকে তলব

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের আলোচিত পর্দাকানণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটি উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা চিঠিতে তাদেরকে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে একই অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে দুদকের উপ-পরিচালক শামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম অনুসন্ধানে নামে। টিম এরই মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যাচাই ও মূল্য নির্ধারণে সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। অনুসন্ধান কাজের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।

২৪ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সচিব সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্টোর কিপার মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন ফয়েজ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ী চালক মো. শাহজাহান।

২৫ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আব্দুল মজিদ ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাব সহকারী সুব্রত কুমার দাস।

২৬ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের হিসাব রক্ষক মাফতুন আহমেদ রাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস সহকারী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুল হক মুন্সি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডব্লিউএইচও) অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম।

অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীকে আড়াল করে রাখার এক সেট পর্দার দাম দেখানো হয় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মেসার্স অনিক ট্রেডার্স অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ২০০ টাকার ১৬৬টি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। যেখানে প্রকৃত বাজার মূল্য ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬৫ টাকা। এরই মধ্যে অনিক ট্রেডার্স ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৭ টাকার বিল উত্তোলন করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো ১০ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন অসঙ্গতিতে বিল আটকে দেয়া হয়। বিল পেতে ২০১৭ সালের ১ জুন অনিক ট্রেডার্স হাইকোর্টে রিট করে। এরপরই মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতির তালিকা চেয়ে পাঠান। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তে দুদককে নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট।

/এসএইচ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App