×

সাহিত্য

নান্দীমুখ নাট্য উৎসবে ভারতের ‘সাবিত্রীবাঈ ফুলে’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম

নান্দীমুখ নাট্য উৎসবে ভারতের ‘সাবিত্রীবাঈ ফুলে’

নান্দীমুখের পথচলার ত্রিশ বছর উপলক্ষে চট্টগ্রামের শিল্পকলা প্রাঙ্গনে চলছে ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসব ২০১৯। এর চতুর্থ দিনে নান্দীমুখ কথামালায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ম, সাইফুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক সঞ্জিব বড়ুয়া, নাট্যকার দীপক চৌধুরী ও নাওশীন ইসলাম দীশা ।

বক্তারা নান্দীমুখের ত্রিশ বছরের কার্যক্রমকে তুলে ধরেন। এই ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে নান্দীমুখ বিশ্ব নাটকের সাথে চট্টগ্রামের দর্শক ও নাট্য কর্মিদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। যা সত্যিই গৌরবের। কথামালার পর গণ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সৃজামি সাংস্কৃতিক অঙ্গন। মিলনায়তনে নাটক পরিবেশন করেন ভারতের আমতা পরিচয় তাদের প্রশংসিত প্রযোজনা ‘সাবিত্রীবাঈ ফুলে’।

এই নাটকের কাহিনি বিন্যাস হলো- ‘সাবিত্রীবাঈ ফুলে’- ভারতের প্রথম নারী-শিক্ষিকার এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প, যেখানে তিনি নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ হয়ে উঠেছিলেন, আর এমন এক সময়ে- যা কল্পনাতীত।

তার জন্ম ১৮৩১-এর ৩ জানুয়ারি। বাল্যবিবাহের অভিজ্ঞতা তার সরাসরি হয়েছিল। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাকে ১৩ বছরের জ্যোতিরাও ফুলের সাথে বিবাহ দেয়া হয়। যে সময়ে বিবাহ ছিল সকল নারীর আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু, যদিও এই যুগলের বিবাহ ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে দাঁড়ায়। জ্যোতিরাও তাকে পড়তে লিখতে শিখায়। অতঃপর তিনি হয়ে উঠলেন ভারতের প্রথম নারী শিক্ষিকা।

এই যুগল মিলিতভাবে সকল বর্ণের শিশুদের পাঠদান করতেন লাগলেন এবং বর্ণ বৈষম্য ভেঙে চুরমার করে দিলেন। এই নব-যুগল প্রকৃত পক্ষে সকল জায়গা থেকে বিরোধিতার সম্মুখিন হতে লাগলেন। ভয়ারতের এই বর্ণ বিভাজন সাবিত্রীকে পীড়া দিতো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App