যশোর সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে মোহিত-শাহারুল ও আসাদ-বিপু প্যানেল জয়ী হয়েছে। জয়ী প্যানেল দুইটিই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার সমর্থিত। তারা যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সমর্থিত মিন্টু-মিলন ও কামাল-বিজু প্যানেলকে পরাজিত করে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই দুটি শাখার সম্মেলন ঘিরে শহর ও উপজেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। শনিবার রাতে ভোট গণনা শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি আব্দুর রহমান এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর দুইটায় শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোট শুরু হয়। আর প্রথম অধিবেশন বেলা ১১ টায় শহরের ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নির্বাচনে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে মোহিত কুমার নাথ ২৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেদী হাসান মিন্টু পেয়েছেন ২৩৬ ভোট। আর ৩০৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহারুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলিমুজ্জামান মিলন পেয়েছেন ২২০ ভোট। উপজেলার ৫৪৬ ভোটের মধ্যে ৫৩৩ জন ভোটারাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে সভাপতি পদে সাতটি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৯টি ভোট বাতিল হয়। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন ৯৭ ভোট পেয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদ হাসান বিপু ১১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী লুৎফুল কবির বিজু পেয়েছেন ৭৭ ভোট। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম আজাহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন ৪৯ ভোট। শহরের ২৫২ কাউন্সিলরের মধ্যে ভোটারাধিকার প্রয়োগ করেন ২৪০ জন। যার মধ্যে সভাপতি পদে সাতটি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আটটি ভোট বাতিল হয়। ফলাফল ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার উপস্থিত ছিলেন।