×

জাতীয়

চরফ্যাশনে ১০ শতাংশ গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:১৭ পিএম

চরফ্যাশনে ১০ শতাংশ গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত

লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গরু

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রথমবারে মতো লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। এরমধ্যে, উপজেলার পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নে এ ভাইরাস ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে উপজেলার ১ লাখ ১৮ হাজার ২২৩টি গরুর মধ্যে ১০ শতাংশ গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চরফ্যাশনে ১৮৫টি গরুর খামারের প্রায় খামারেই এ ভাইরাসের দেখা দিয়েছে। উপজেলার চর নিজাম, চর হাসিনা, জাহানপুর, চর ফকিরা, হাজারীগঞ্জ, চর মানিকা, ঢালচর ও বয়ারচরে গত একমাসে ১১ হাজারের বেশি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে বেশ কিছু গরু অনাহারে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে বলে খামারিরা জানান। চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের গরুর খামারি খলিল জানান, এ ভাইরাসে প্রথমবারের মতো আমার গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি ওঠে ফুলে যায়। পরে গুটিগুলো ইনফেকশনে দগদগে ঘা সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত স্থানে চামড়া ও মাংস পচে যাচ্ছে। শরীরে উচ্চ মাত্রার জ্বর ও ব্যাথা থাকায় এ সময় খাওয়া বন্ধ করে গরুগুলো দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি গরুর ঔষধ খরচ ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, তার ওপর সহজলভ্যতা না হওয়ায় আক্রান্ত গরু নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এ ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল আফ্রিকা মহাদেশে। এটি মশা ও মাছি দ্বারা ছড়িয়ে থাকে। এ রোগটি হলে মুলত গরুর শরিরে ফুলা ফুলা গুটি ওঠে এবং পায়ের জয়েন্টে পানি জমে। তবে এ ভাইরাসের কোনোও ভ্যাকসিন নেই। সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন রোধে অবস্থা নির্নয় পূর্বক এ্যান্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। ঔষধ প্রয়োগ করলে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ লাগে এ রোগ সারতে। তিনি আরোও বলেন, ভাইরাস আক্রান্ত রোধে গরুর খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়ম মেনে গবাদি পশুর চিকিৎসা করালে কোনোও ঝুকি থাকেনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App