×

জাতীয়

রাণীনগরে কৌশলে সংখ্যালঘু পরিবারকে সর্বশান্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম

রাণীনগরে কৌশলে সংখ্যালঘু পরিবারকে সর্বশান্ত
নওগাঁর রাণীনগরে চড়া সুদে টাকা দিয়ে গৌর সরকার (৪০) নামে এক সংখ্যালঘুর কাছ থেকে কৌশলে বসত বাড়িসহ ১৬ শতক জায়গা বায়না নামা রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দাদন ব্যবসায়ীর অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছে গৌর সরকার। অত্যাচার থেকে মুক্তির আশায় রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী গৌর সরকার। অভিযোগে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার কুজাইল হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত বিরেন সরকারের ছেলে গৌর সরকার প্রায় ১ বছর আগে আতাইকুলা গ্রামের আব্দুলের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী রশিদুলের কাছ থেকে চড়া সুদে এক লাখ বিশ হাজার টাকা নেয়। তার কিছুদিন পরে রশিদুল গৌর সরকারের কাছ থেকে একটি সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে দাদন ব্যবসায়ী রশিদুলের সঙ্গী দূর্গাপুর গ্রামের সমতুল খন্দকারের ছেলে মিজানুর রহমান মিজু খন্দকার ও কুজাইল গ্রামের মনছুরের ছেলে অহিদুল গৌর সরকারকে কুজাইল বাজার তার চায়ের দোকান থেকে ডাক দিয়ে বলে, তোর টাকার পরিমান বেশি হয়ে গেছে। তুই আমাদের একটি ডকুমেন্ট করেদে নইলে এখনই টাকা দে। সে সময় রশিদুরের সহযোগী মিজু এবং অহিদুল জোর পূর্বক গৌর সরকারকে রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে নিয়ে মিজানুর রহমান মিজুর নামে বায়না নামা রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এসময় তারা বলে টাকা ফেরত দিলে তোর বায়না নামা রেজিষ্ট্রী বাতিল করিয়া দিব। পরে গৌর সরকার জানতে পারে যে তার বসত বাড়ি সহ মোট ১৬ শতক জমি বায়না নামা রেজিষ্ট্রী করে নেয় ও তিন লাখ বাষট্টি হাজার টাকা প্রদান দেখায় এবং মোট মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা ধার্য্য করে। এ ঘটনায় পর থেকে গৌর সরকার ওই দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছে। ভুক্তভোগী গৌর সরকার জানান, আমি অভাবে পরে তার কাছ থেকে সুদে এক লাখ বিশ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। তার সঙ্গীরা আমাকে ডেকে নিয়ে জোর করে আমার বসত বাড়িসহ মোট ১৬ শতক জায়গা বায়না নামা রেজিষ্ট্রী করে নিয়েছে। তাদের অত্যাচারের ভয়ে আমি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছি। আমি আগে জানতাম না মাত্র এক লাখ বিশ হাজার টাকা সুদের উপর নেওয়ার কারনে আমার বসত বাড়ি সহ ১৬ শতক জায়গা লিখে নিবে তারা। এ ঘটনায় আমি সুষ্ট বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছি। দ্রুত তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রশিদুলের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গৌর সরকারকে কোন টাকা দেয়নি। তার জমি লেখে নেওয়ার ব্যাপারে আমি কোন কিছুই জানি না । তিনি দাদন ব্যবসায়ী কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন পূর্বে আমি করতাম কিন্তু এখন আর করি না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিজুর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, সে জমি বিক্রি করবে পাটিও দেখাচ্ছে। আমার বাড়ির জায়গা নাই তাই আমি ৩৫ হাজার টাকা শতক হিসেবে জায়গা কিনে ৬ মাস আগে বায়না নামা রেজিষ্ট্রী করে নিই। আর এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে আরেক অভিযুক্ত অহিদুল এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App