এরশাদের বাসভবনে অবরুদ্ধ এরিক-বিদিশা!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:২১ এএম
সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে অবস্থান করছেন তার ছেলে এরিক এরশাদ। তবে সেখানে অটিস্টিক এরিককে ঠিকমত খেতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে।
এমন অভিযোগ এরিকের মা এরশাদের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশার। বিদিশা বলেন, এরিক তাকে জানিয়েছেন, ওই বাসার এক গাড়িচালক তাকে (এরিক) মারধর করেছে। কেউ তাকে একবেলার বেশি খেতে দেয় না।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এরিক তার মাকে ফোন করে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে আসতে বলেন। ছেলের ফোন পেয়েই পাগলের মতো সেখানে ছুটে যান বিদিশা। অনেকদিন পর মা ছেলে একসঙ্গে হয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকলে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এক পর্যায়ে কান্না থামলে ছেলেকে নিজ হাতে গোসল করান। নিজের রান্না করা পোলাও রোস্ট খাইয়ে দেন। এরপর মা ছেলে মিলে নানা খোশগল্পে মেতে উঠেন। ভাগাভাগি করতে থাকে দীর্ঘদিনের সুখ-দুঃখের।
ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর রটে যায় প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশা ও এরিক অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তাদের বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তবে বিদিশা পরে গণমাধ্যমে জানান, বিষয়টাকে অবরুদ্ধ বলা যাবে না। তবে বাইরে থেকে অন্য কাউকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
বিদিশা তার ছেলেকে সঙ্গে রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, আমিই এরিকের আইনগত অভিভাবক (লিগ্যাল গার্ডিয়ান)। এরিকের সঙ্গে আমি থাকতে চাই। এরিক আমাকে এখানে থাকতে বললে থাকব। আর যদি আমার সঙ্গে গুলশান যেতে চায় তাহলে সেখানে নিয়ে যাব।
এদিকে, ছেলে এরিকের সঙ্গে বিদিশার ফোনে প্রথম কী কথা হয়েছিল তা শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন বিদিশা। সেখানে লিখেছেন,
এরিক: মা গতকাল ইউটিউব দেখে আমি অনেক রান্না শিখছি।
মা: গুড নিউজ। তাহলে তো বাবা রান্না করবে আর মা খাবে।
এরিখ: না মা, তোমার জন্য আমি সব লিংক ডাউন করে রাখছি। ডেইলি তুমি নিউ ডিশ বানাবে লিংক দেখে দেখে। জানো মা ওরা না আমাকে জাস্ট দুপুরে একবেলা খেতে দেয়। সকাল নাশতা আর রাতেও কিছু খেতে দেয় না।
মা: তাহলে খিদে পেলে কি খেতে তুমি?
এরিখ: আব্বু মারা যাওয়ার আগে বিস্কিট আর মিনারেল ওয়াটার রেখে গিয়েছিল আমার রুমে। বিস্কিট তো কবে শেষ। মিনারেল ওয়াটার বোতলগুলো অনলি আছে।
এরপর বিদিশা ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, এরিক একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও খেতে পায়নি। ডাইভার অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করেছে এরিককে।