×

জাতীয়

সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি প্রশাসন, দুর্ভোগে ক্রেতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৩২ এএম

সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি প্রশাসন, দুর্ভোগে ক্রেতা
প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপেই কবজায় আসছে না পেঁয়াজের সিন্ডিকেট। বিদ্যুৎগতিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন ২২০ টাকার বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের মতো সিন্ডিকেট করে ফের পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আমদানিকৃত পণ্য খালাস না হওয়া এবং চাহিদার চেয়ে আমদানি কম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে, তাই হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম। পেঁয়াজের বাড়া-বাড়িতে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোরের কাগজকে বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান চিত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন টানা অভিযান চালিয়েছে। আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তখন বাজারে পেঁয়াজই থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কী করণীয়- তা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। নির্দেশনা আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের দেড় মাসের মাথায় পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। নগরীতে খুচরা দোকানে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। শহরের বাইরে বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বেশি। চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, বাজারে পেঁয়াজ নেই। চাহিদার তুলনায় আমদানি খুবই সামান্য। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি বড় শিল্প গ্রæপ বড় অঙ্কের পেঁয়াজ আমদানি করবে বলে ঘোষণা দিলেও তা এখনো বাজারে আসেনি। সেটা না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তে বেড়ে কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটা আমরাও বলতে পারছি না। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস হয়নি। তিনি বলেন, প্রশাসন চাপ দিচ্ছে, ঠিক আছে। কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে তো বাজার স্বাভাবিক করা যাবে না। যতক্ষণ পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আমদানি হবে না কিংবা বাজারে আসবে না, ততক্ষণ বাজার স্বাভাবিক হবে না। দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভারতের পেঁয়াজ দেখা যায়নি। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ভালো মানের ১৭০ থেকে ১৮০ এবং মাঝারি মানের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মিসর, চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গেই পড়েছে খুচরা বাজারে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি খুচরা মুদি দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে। যেসব দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে, সেখানে ২০০ টাকার নিচে কোনো পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App