×

জাতীয়

ভোটবিহীন নির্বাচন সম্ভব হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব: গয়েশ্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম

ভোটবিহীন নির্বাচন সম্ভব হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব: গয়েশ্বর
ভোটবিহীন ভোটে নির্বাচন হয়ে সংসদ গঠন সম্ভব হলে, পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব হয় বলে মন্তব্য ক‌রেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সিন্ডিকেটের কারসাজি। বর্তমানে পেঁয়াজের অভাবের চেয়ে, পেঁয়াজের সঙ্কটের প্রচার পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের আরো বেশি সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ কোন জিনিসের অভাব হলে তার দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপি'র আন্দোলন দুই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে একটি প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন এবং আরেকটি বিএনপি কার্যালয় কেন্দ্রিক আন্দোলন। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি। আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি করে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারচেয়ে আক্রমনাত্মক রাজনীতি করলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন বিদ্যালয় উপস্থিতির তালিকার মত করে তাদের নাম বলতে হয়। পত্রিকায় তাদের নাম ছবি না আসলে ক্ষুব্ধ হন। পত্রিকার নাম না আসলে কি আন্দোলন হয় না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় অনলাইন পত্রিকা, এত টেলিভিশন এবং ফেসবুক ছিলনা। তাহলে সেই সময় কি আন্দোলন হয় নাই। সুতরাং আমাদেরকে পত্রিকায় নাম ও ছবি আসা, নিজেকে জাহির করার মন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন সংগ্রাম করেই বেগম জিয়ার মুক্তি অর্জন করতে হবে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আন্দোলন করে শেখ সাহেব কে মুক্ত করতে না পারলে, তার ফাঁসি হয়ে যেত। জনগণের আন্দোলনের ফলেই তিনি মুগ্ধ হয়ে আসেন এবং সেইসব মামলাও কোথায় গিয়েছে তারও কোন হদিস নেই ‌। বিএনপির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি সাতটি দফা দিয়েছিল। একদফা দাবি খালেদার মুক্তি যদি চাইতাম তাহলে খালেদার মুক্তি না হয়ে যেত না। নির্বাচনের ফলাফল যে এমন হবে এটা তো আমরা আগে থেকেই জানতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো আমাদেরকে দাওয়াত দেয়নি। ড. কামাল হোসেন দাওয়াত চেয়েছেন। চেয়ে দাওয়াত নিলে সেখানে অতিথি আপ্যায়নও তেমনি হয়। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, বগুড়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, তেজগাঁও থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান কবির,কোতোয়ালি থানা কৃষকদলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, কৃষকদলের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App