আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৪ হাজার ৭৫০ জন ডাক্তার নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে তিনি এ তথ্য জানান। এর ফলে প্রতি উপজেলায় ৯ থেকে ১০ জন করে নতুন ডাক্তার নিয়োগ হবে। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস উত্তীর্ণ এসব ডাক্তারদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে জবাব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, সেটা সবাই উপলব্ধি করছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি’র মাধ্যমে বিশেষ বিসিএস-এ ৪ হাজার ৭৫০ জন ডাক্তার উত্তীর্ণ হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে, আশা করি ১৫ দিনের মধ্যে সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করার পর নিয়োগ হবে। রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে এলেই অনুমোদন করবেন। এসব ডাক্তারের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ডাক্তার দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পদায়ন করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স নিয়োগ হয়েছে।

নিজের এলাকার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার ওখানে আগে ৩৮ জন নার্স ছিল এখন ১৭৭ জন। কাজেই নার্সের ক্ষেত্রে আমাদের জনবল সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। তবে ডাক্তাররা নিয়োগ পেলেও উপজেলা-গ্রামে থাকতে চান না বলে সেখানে ডাক্তারের স্বল্পতা সৃষ্টি হয়।

মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, আসলে এমপি হিসেবে আমাদের জবাবদিহিতা করতে হয়। হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি কি না। ডাক্তার স্বল্পতার যে চিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অনেকাংশে অনেক জায়গায় সত্য।

ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যাটাচমেন্টের বিষয়টি কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনো অ্যাটাচমেন্ট দেয়া হচ্ছে না। উপজেলাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা নতুন যোগদান করেন তাদের একটি শর্ত রয়েছে। চাকরির শুরুতে প্রথম দুই বছর উপজেলা পর্যায়ে সেবা দিতে হবে। ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস এর মাধ্যমে যারা যোগদান করতে যাচ্ছেন তারা যেন প্রথম দুই বছর যেখানে যাকে দেয়া হবে সেখানে থাকেন। তারপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তারা আসতে পারবেন। সে বিষয়ে আমি নিজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।