শিক্ষকদের দেখেনি কেউ, তবুও এমপিও ভুক্ত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১২ পিএম
ভোলার দৌলতখানে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ছাকিনা আদর্শ একাডেমির এমপিওভুক্তিতে সাধারন জনগনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা জামায়াতের আমির জিয়াউল মোর্শেদ। প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বহু মামলার আসামি একযুগের ও বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে। এছাড়া নিয়ম বর্হিভূত ভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অন্য একটি এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ও সভাপতির শ্যালক চরপাতা জামাত আমির মিজানুর রহমানকে। প্রতিষ্ঠানটির ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে সবাই সরাসরি জামায়াতের রাজনীতি সাথে সমপৃক্ত এবং পদধারী। গত দুই জাতীয় নির্বাচনের আগে নাশকতার সকল গোপন বৈঠক এ প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হতো বলে সাধারন জনগনের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
এমপিও ভুক্তিতে অনলাইনে যে শিক্ষকদের তথ্য পাঠানো হয়েছে তারা জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামাত নেতা এবং তাদের কে কেউ কখনো দেখেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানে নেই কোন হাজিরা খাতা। সভাপতি ভোলা থেকে হাজিরা ও রেজুলেসন খাতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রথমে প্রতিষ্ঠান টি কিন্ডার গার্ডেন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলেও,পরে তা ৮ ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান চালু করে যা এখন দশম শ্রেনী পর্যন্ত চলমান।
বর্তমানে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন শিক্ষার্থি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে ।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক মনির প্রতিষ্ঠানে কোন দিন আসেনি, শুধু জামাত নেতা হওয়ার কারনে ম্যানেজিং কমিটি তাকে নিয়োগ দিয়েছে।
বিতর্কিত এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটির এমপিওভুক্তিতে জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের সমন্বয়ে পরিচালিত প্রতিষ্টানটি এমপিওভুক্তিতে অনেকটাই আশ্চর্য তারা। করছে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশংকা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।