×

জাতীয়

বৈরাতি মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার সব শিক্ষার্থীই ভুয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০১ এএম

বৈরাতি মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার সব শিক্ষার্থীই ভুয়া

বৈরাতি দাখিল মাদ্রাসা

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতি দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর ২২ জন শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা শুরুর দিনই অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২ জনে। অভিযোগ উঠেছে, এসব পরীক্ষার্থীর সবাই ভুয়া। অনুপস্থিত ১২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জনকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২ নভেম্বর থেকে সারা দেশে জেডিসি পরীক্ষা শুরু হলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে। উপজেলার কাকিনাহাট মোস্তাফিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর দিনেই ওই মাদ্রাসার ৬ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। বাকী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তার চোখে শিক্ষার্থীদের অনেকের বয়সের বিষয়টি তার দৃষ্টিতে ধরা পড়ে।

এরপর তিনি নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটির হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনেকেই বিভিন্ন স্কুলও কলেজ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার বাবুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী সিতুলী বেগম জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। জেডিসি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ২৩৮৭৮৪। আরেক ছাত্রী আফসিন খাতুন। তিনি করিম উদ্দিন পাবলিক ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৩.৪৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনিও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। আফসিন খাতুনের রোল নম্বর ২৩৮৭৮৬। ওই দিন থেকেই বাকী শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আচ করতে পেরে ওই ২ শিক্ষার্থীসহ আরো ৪ শিক্ষার্থী বাকি পরীক্ষাগুলোতে অনুপস্থিত রয়েছে ।

বুধবার বিকেলে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার ফাতেমা বেগম বলেন, আমি অসুস্থ। হাসপাতালে আছি।

অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, বৈরাতি দাখিল মাদ্রাসার সুপার ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী আবুল কাশেম এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বৈরাতি এলাকার লোকজন জানান, দুই তিন বছর থেকেই মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে । জরাজীর্ণ মাদ্রাসাঘরটির ভিতরে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় বখাটেরা জুয়ার খেলার আসর বসান।

১৯৯৭ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করে এখন পর্যন্ত ১৭ জন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছেন সুপার । আর এসব শিক্ষকদের প্রত্যেকের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App