বিরলে ধান ক্ষেতে ব্লাস্টসহ নানান রোগে কৃষকরা দিশেহারা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম
বিরলে ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকা, বাদামী গাছ ফড়িং, কালো মাজরা, ব্লাস্টসহ নানান রোগের প্রকোপ মারাত্মক রূপে দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। যে সময় ধান ক্ষেতে সবুজের সমারোহ দেখা যাওয়ার কথা, সে সময় উল্টো অগ্রিম ধান পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ। ধানের শীষ বের হওয়ার মৌসুমে শীষের গোড়া কারেন্ট পোকায় কেটে ফেলায় শীষ বের হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শীষে ধান নেই শুকনো চিটা হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কীটনাশক প্রয়োগেও কোন প্রতিকার খুঁজে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।
উপজেলার ধামইর ইউপি’র দারইল গ্রামের কৃষক মমতাজ আলী মাষ্টার জানান, ৪ একর জমিতে এবার ব্রী-৩৪ (জিরা কাঠারী) আবাদ করেছেন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে ধানক্ষেত। কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তাকে মাঠে না পেয়ে স্থানীয় দোকান থেকে কীটনাশক নিয়ে এসে প্রয়োগ করেছেন। কীটনাশক প্রয়োগের পূর্বেই অনেকটা ফসল আক্রান্ত হয়ে পড়ায় এবার ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে।
একই এলাকার কৃষক শুশিল চন্দ্র রায় জানান, ৪ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট এর আক্রমণে ধান অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকায় আগে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এলেও এখন কে দায়িত্বে আছেন তা তিনি জানেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ মাহবুবার রহমান জানান, আবহাওয়া এবার অনুকূলে রয়েছে। উপজেলায় এবার খরিপ-২/২০১৯-২০ অর্থ বছরে রোপা আমন জাতের মধ্যে ব্রি-৩৪ ধান ১৫ হাজার ৪৬৪ হেক্টর, গুটি স্বর্ণা ৪হাজার ৯৪৪ হেক্টর, সুমন স্বর্ণা ২ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, ব্রি-৪৯ ধান ১ হাজার ৩১১ হেক্টরসহ অন্যান্য সকল জাতের মোট ২৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। বিপিএইচ এবং ব্লাস্ট রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রায় ৬০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ধান কাটা পর্যন্ত এভাবে পরামর্শ অব্যাহত রাখতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।