তিন দাবি না মানলে পরীক্ষায় বসবে না বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম
বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ প্রদত্ত চার্জশিটভুক্ত আসামিদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত টার্ম পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আন্দোনলনকারীদের পক্ষে কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ গাঙ্গুলি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা জানান তারা। তাদের দাবিগুলো হলো:
১. চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা।
২. আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া।
৩. সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি এবং র্যাগের জন্য সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন ধাপে ভাগ করে শাস্তির নীতিমালা করা এবং নীতিমালাগুলো বুয়েট একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরবর্তী ধাপগুলোতে প্রেরণ করা।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে তারা আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ গ্রহণ করবে। টার্ম পরীক্ষার অন্তত ৭ দিন আগে তৃতীয় দাবি পূরণ করলে তারা পরীক্ষা দিবে।
বুয়েট প্রশাসনকে হুশিয়ারি দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দাবিগুলোর প্রতি আন্তরিক না হন এবং প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে তারা পরীক্ষায় অংশ নিবে না।
পুলিশ কর্তৃক মামলার চার্জশিট আদালতে প্রদান এবং মামলাটি দ্রুত বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 'ইতিবাচক' মনোভাব পোষণ করেছেন বলে জানিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা আন্দোলনে গত ৩৮ দিন ধরে বুয়েটে স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে। কবে বুয়েট ক্যাম্পাস সচল হবে তাও অনিশ্চিত। ফলে দেখা দিয়েছে সেশন জটের আশংকা।