×

জাতীয়

সংসদে হট্টগোলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাঙ্গা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:১০ পিএম

সংসদে হট্টগোলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

সংসদে সরকারি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের মধ্যে হট্টগোল ও চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ নূর হোসেন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কার্যপ্রণালী বিধির ২৭৪ বিধিতে ব্যক্তিগত কৈফিয়ত সম্পর্কিত ধারায় তিনি এ ক্ষমা চান।

রাঙ্গা বলেন, আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কলিগরা এটা শুনে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন, হয়তো আমার দল ক্ষমতায় থাকলেও মন্ত্রী হতে পারতাম না।

মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, গত ১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র দিবস পালন নিয়ে একটি সভা ছিল, ছোট্ট পরিসরে। মাইক বাইরে ছিল না, ভেতরে সাউন্ডবক্সের মধ্যে আমরা কথা বলেছি। নূর হোসেন দিবসও একই দিন ছিল। আমাদের ওখানে পুরান ঢাকা থেকে তখন কিছু লোক আসছিল নূর হোসেন চত্ত্বরে ওখানেই এরশাদ সাহেবকে গালাগালি করে এরশাদের দুই গালে জুতা মার তালে তালে এইভাবে কিছু কথাবার্তা বলছিল। এ সময় আমি দলের মহাসচিব হিসেবে ওনাদের শান্ত থাকতে বলি। কিন্তু তারা এ সময় হৈ-চৈ শুরু করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু ও নূর হোসেনকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি আসে সংসদ থেকে। এ সময় কোনো কোনো সংসদ সদস্য তাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কারও করার দাবি তোলেন। এছাড়া আর জাতীয় পার্টির কয়েকজন সিনিয়র নেতারা বলেন এটা তাদের দলীয বক্তব্য নয়।

এরপর রাঙ্গা বলেন, আমাদের সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী মহোদয় সংসদে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমার স্থানীয় সরকারের সাবেক সিনিয়র মন্ত্রীও আলোচনা করেছেন গত মঙ্গলবার সংসদে। আমি মনে করি তারা আমাকে শাসন করেছেন। আমি এটা ভুল করেছি এবং ভুল করার জন্য আমি তার (নুর হোসেন) পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এমনকি বিবৃতিও দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সংসদে ৩৭ বার প্রশ্নের জবাব দিয়েছি । সে সময় অসংখ্যবার আমি জাতির পিতার নিয়ে কথা বলেছি। এ সময় জয় বাংলা বলেছি। তাই জাতির পিতা নিয়ে আমার যদি কোন রকমের ভুল করে থাকি তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। পাশাপাশি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিবাজ বা সন্ত্রাসবাদ বলিনি। আমি বলেছি এই সময়ে বিশ্বজিৎ হত্যা হয়েছে। তারও বিচার হয়েছে। আমি যেটা বলেছি তাহলে ১৯৯০ সালে পর যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলেন তখন কৃষকদের হত্যা করা হয়েছিল। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা হত্যার জন্য। বিদেশ থেকে সেই সময় অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছি বাংলাদেশে। এই কথাগুলো কিন্তু আমি বলেছি । এর রেকর্ড রয়েছে। এরপরও আমি নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। যদি আমি কোনো ভুল করে থাকি অবশ্যই আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সংসদে আমার কলিগ আছেন তারাও এটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

তিনি বলেন, আমি কালকে (সোমবার) সংসদে আসলে আমি কালকেই জবাব দিতে পারতাম। তারপরও আমি বিশ্বাস করি নূর হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা গুলি করি কিংবা এরশাদ সাহেব গুলি করে মারুক কিংবা না মারুক এটা তো সত্য তিনি মারা গেছেন । আমি তার পরিবারের কাছে পত্র দিও ক্ষমা চেয়েছি। সুতরাং আমি মনে করি এখানকার মন্ত্রী এমপিরা আমার কোন ভুল ত্রুটি হলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App