বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই, এখন আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । অনেকে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসার জন্য যোগযোগ করছেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শের-ই বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তারা কাজ করছে।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় স্বাধীনতার যে চেতনা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম পরবর্তীকালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। সেই স্বৈরাচারকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকার গঠন করেছিল। পরবর্তীতে ভোট ডাকাতি করে তাদেরকে নিয়ে সংসদে গেছে।

তিনি আমাদের প্রিয় নূর হোসেন যিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন, তার বিরুদ্ধে কতগুলো কথা বলেছেন, যে কথাগুলো সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পুরোপুরি অপমান করা, দেশের গণতান্ত্রিক মানুষকে অপমান করা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আমরা মনে করি প্রকাশ্যে, সংসদে সব জায়গায় তার ক্ষমতা চাওয়া উচিত।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করেছেন এটা আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারছি, কিন্তু আমি এখনও জানি না। তারা নিজেদের দল সামলাতে পারছেন না। প্রতিদিন যুবলীগের সম্মেলনে পরস্পর মারামারি করছেন। তাদের পতন ঢেকে রাখার জন্য তারা অহেতুক মিথ্যা কথা বলছেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন চলছে এই আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, বিএনপি'র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক প্রমুখ।