×

জাতীয়

ওটিতে রোগী ফেলে ডাক্তার-ক্লিনিক মালিকের পলায়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৫০ পিএম

ওটিতে রোগী ফেলে ডাক্তার-ক্লিনিক মালিকের পলায়ন
পাবনার চাটমোহরে অপারেশন টেবিলে সেলাই না করে রোগীকে ফেলে পালানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নীরব নামে এক কথিত সার্জন ও আসাদুজ্জামান নামে তার এক সহকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাছলিমা খাতুন (৩৫) নামে ওই প্রসূতি মাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। আটক কথিত সার্জন সাদ্দাম হোসেন পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তবে ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু পালিয়ে যায়। জানা গেছে, সোমবার তাছলিমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য স্বজনরা তাকে পৌর শহরের নারিকেলপাড়া ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথিত সার্জন সাদ্দাম হোসেন নীরব, ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু, আসাদুজ্জামান এবং দু’জন নার্স মিলে অস্ত্রোপচার করেন এবং একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। এ সময় রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত সার্জন, তার সহকারী এবং ক্লিনিক মালিক পালানোর সময় কথিত সার্জনকে আটক করতে পারলেও পালিয়ে যায় ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু। এদিকে পুরো অপারেশন থিয়েটার জুড়ে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজন এবং স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়ছে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে তাছলিমা খাতুনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই প্রসূতি মাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বায়েজীদ-উল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগীকে সেলাই না করেই সবাই পালায়। পরে শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে (তাছলিমা) পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, সাদ্দাম হোসেন এবং তার সহকারী আসাদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উল্লখ্য, চলতি বছরের ৩রা জুলাই ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামের এই ক্লিনিকেই এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক ছাড়া রোগীর অস্ত্রোপচার এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অস্ত্রোপচারের কারণে কথিত ওই সার্জন এবং ক্লিনিক মালিককে জরিমানা করেন এসিল্যান্ড মো. ইকতেখারুল ইসলাম। এছাড়া ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়। তবে কাউকে না জানিয়ে সিলগালা ভেঙ্গে আবারো ওই ক্লিনিকে অপারেশন শুরু করে কথিত সার্জন সাদ্দাম হোসেন এবং ক্লিনিক মালিক আমির হোসন বাবলু। আরো পড়ুন:

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App