×

শিক্ষা

উপাচার্যের ৮ দুর্নীতির ৭০ পৃষ্ঠার খতিয়ান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৯ এএম

উপাচার্যের ৮ দুর্নীতির ৭০ পৃষ্ঠার খতিয়ান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের প্রধান ৮টি দুর্নীতির তথ্য উপাত্ত নিয়ে ৭০ পৃষ্ঠার খতিয়ান এখন শিক্ষা উপমন্ত্রীর দপ্তরে। এ ছাড়া দুর্নীতির সারসংক্ষেপ আকারে ৬ পৃষ্ঠার একটি নথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের দপ্তরে জমা পড়েছে। গত শুক্রবার রাতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর একটি প্রতিনিধি দল ওইসব নথিপত্র জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এসব নথির সত্যানুসন্ধান করবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, লিখিত অভিযোগে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের সঙ্গে নিজ বাসভবনে স্বামী-সন্তান নিয়ে টাকা ভাগবাটোয়ারা, উন্নয়ন প্রকল্পে উপাচার্যের একান্ত সচিবকে দায়িত্ব দেয়া, প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দিনের টেন্ডার দুর্নীতি, ছাত্রলীগের টেন্ডার শিডিউল ছিনতাই, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ছাড়াই অবৈধভাবে ১৯ শিক্ষককে পদোন্নতি, নিয়মবহিভর্‚ত আইন অনুষদের ডিন নিয়োগ, স্বামীর পিএইচডি বোর্ডে সভাপতিত্ব করা, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর অন্যতম সংগঠক ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খবির উদ্দিন বলেন, উপাচার্যের নানা অনিয়ম নিয়ে ৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র এবং ৭০ পাতার তথ্য-উপাত্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে দিয়েছি। এর আগে গত ৩ নভেম্বর চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন জানিয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তার দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। বিশেষ করে টাকা ভাগবাটোয়ারায় যারা যুক্ত ছিলেন, গণমাধ্যমের কাছে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকগুলো যেসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অর্থ কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশ করেছে, সেগুলো প্রাথমিক তদন্তের জন্য যথেষ্ট।

সরকার এই প্রমাণগুলো আমলে নিয়ে তদন্তের উদ্যোগ না নেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণগুলো আমলে নিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কার্যকরী তদন্ত হলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবে। এর মাধ্যমে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, সেটিও প্রমাণিত হবে।

এদিকে, বন্ধের মধ্যেই প্রশাসনের সব বাধা উপেক্ষা করে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন চলমান রেখেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’। তবে বৈরী আবহাওয়া এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে গত দুইদিন আন্দোলন বন্ধ থাকলেও আজ মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার পটচিত্র প্রদর্শন, সংহতি সমাবেশ এবং পথনাটক পালন করা হবে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ির সদস্যদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App