×

খেলা

হলো না স্বপ্নপূরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৩ পিএম

হলো না স্বপ্নপূরণ

মুশফিককে আউট করে অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন শিবম দুবে

হলো না স্বপ্নপূরণ

নাঈম শেখ ৩ ম্যাচে ১৪৩ রান করে সিরিজ সেরা ব্যাটসম্যান

হলো না স্বপ্নপূরণ

মাস্কটে অনুশীলনে ব্যস্তজেমি ডের শিষ্যরা

হলো না স্বপ্নপূরণ

ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে লিভারপুলের মো.সালাহর গোল করার প্রচেষ্টা

হলো না স্বপ্নপূরণ

বাংলাদেশ-মালদ্বীপের ম্যাচের একটি মূহুর্

তীরে এসে তরী ডুবানো টাইগারদের কাছে নতুন কোনো বিষয় নয়। অসংখ্যবার এমন ঘটনা ঘটানো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা নাগপুরে ইতিহাস গড়ার দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ভারতের মাটিতে এশিয়ার কোনো দল এখানো সিরিজ জিততে পারেনি। মাহমুদউল্লাহরা রোহিতদের মাটি থেকে সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেও তা নাগালে রাখতে পারেননি। বাজে ফিল্ডিংয়ের পরও নাঈম-মিঠুনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৭৪ রানের জবাবে ভালোই এগোচ্ছিল। কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। তামিমের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়ে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ব্যাট হাতে যে ঝলক দেখিয়েছে তা দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবে সমর্থকদের। বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচে ১০৭ বল মোকাবিলা করে নাঈম শেখ ৪৭.৬৬ গড়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে সিরিজের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা দখল করেছেন। তিন ম্যাচে তিনি ১৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। নাগপুরে আমিনুল শ্রেয়াসকে জীবন দান করায় দলের বিপদে তিনি ৬৩ রানের ইনিংস খেলায় ভারতের স্কোরটা বড় হয়। অথচ ইনিংসের শুরুতে শফিউল রোহিত শর্মা এবং শেখর ধাওয়ানকে দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে স্বাগতিক সমর্থকদের মুখের হাসি কেড়ে নেন। নাগপুরে টাইগাররা বাজে ফিল্ডিং-ব্যাটিংয়ের বাজে নজির স্থাপন না করলে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের ট্রফি জয় কেউ আটকাতে পারত না। নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সিরিজ জেতা হয়নি। দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে বোলিং, ফিল্ডিং ও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পারফরমেন্স বলা যায় ছিল একশতে একশ দশ। প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন শিভাম দুবের ক্যাচ কীভাবে শূন্যে লাফিয়ে উঠে ধরেছিলেন সেটি নিশ্চয় মনে আছে। এরপর শিখর ধাওয়ানকে রান আউট করে ফেরত পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। শেষে এসে ব্যাটিংয়ে কারিশমা দেখান মুশফিক। এক কথায় অলরাউন্ডার পারফরমেন্স দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে এর অনেক কিছুই ছিল না। বিশেষ করে নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা ছিল নাজুক। যা হারের অন্যতম কারণ। স্পিনার আমিনুল ইসলামের এক ক্যাচ মিসই ভারতকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ। শফিউলের বলে শ্রেয়াস আইয়ারের সেই ক্যাচটি যদি আমিনুল তালুবন্দি করতে পারতেন তাহলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত। ক্রিকেট মাঠে জীবন পেয়ে কীভাবে কাজে লাগাতে হয় তা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আইয়ার। তবুও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকই সেরেছিলেন। নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচের কন্ডিশন অনুযায়ী ১৭৫ রান খুব বেশি বড় টার্গেট ছিল না। কিন্তু ব্যাটিংয়ে এসে বাংলাদেশ পুরোপুরি বিবর্ণ থাকে। দায়িত্ব নিয়ে খেলেননি বেশ কয়েকজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান। প্রথমদিকেই আউট হয়ে যান ওপেনার লিটন দাশ। সৌম্য সরকার প্রথম বল খেলেই আউট হন। সৌম্য আউট হলেও নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে বাংলাদেশকে জয়ের ভিতটি গড়ে দেন। কিন্তু মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেই ভিত ভেঙে যায়। মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন সৌম্যর মতো প্রথম বল খেলেই আউট হন। এ দুজন আউট হওয়ার পর বড় দায়িত্ব এসে পড়েছিল মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। কিন্তু তিনিও সেই দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থ হন। যুবেন্দ্র চাহালের বলে হিট করতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়ে যান তিনি। মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন তখন ১৯ বলে দরকার ছিল ৪০ রান। এমন পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জয়ের অনেক নমুনা রয়েছে। লোয়ার অর্ডারের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। ওপেনার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেলেই লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কাজ হয়ে দাঁড়ায় ইনিংসটা ধরে রাখা। অথচ ভারতসহ অন্য দলগুলোর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দলের প্রয়োজনে শেষ দিকে এসে ঠিকই ভালো ইনিংস খেলতে পারেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর কিন্তু সেটি দেখিয়ে দিয়েছিলেন। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে না পারার কারণও বাংলাদেশের সিরিজ হারের অন্যতম কারণ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মনে করেন পুরনো ভুলের কারণেই ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা যে ভুল করেছিলাম শেষ ম্যাচেও সেই একই ভুল করেছি। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকমতো করেছিল কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আমরা জয় তুলে নিতে পারিনি।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App