দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের টর্চারসেলে পরিনিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন সম্প্রতি বুয়েটে আবরার হত্যা প্রমানকরে সরকারী দলের মদতে কিভাবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যতন চালাচ্ছে ছাত্রীলগের ক্যাডারবাহিনী।

সংসদে সোমবার (১১ সভেম্বর) একটি নোটিশের আলোচনায় তিনি বলেন, এখন দেখা গেছে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতাসীনদের টর্চারসেলে পরিত হয়েছে। দেশে র্ভিন্নমত প্রচারের নুন্যতম স্বাধীনতা নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির বিপক্ষে বুয়েটের আবরার যখন বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তখন তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একই কারণে খুলনায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ হারিয়েছেন একজন। অর্থাৎ এখন কথা বলা যাবে না, যদি না এটি সরকারের পক্ষে যায়, তাহলে নানা ধরনের নির্যাতন নেমে আসে।

জরুরি জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) এর আওতায় বক্তব্য দিতে গিয়ে একথা রুমিন কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, নোংরা রাজনীতির চক্করে পড়ে মেধাবী ও অমেধাবী নির্বিশেষে ক্ষমতাসীন দলের অনেক ছাত্র নরপিচাশে পরিণত হয়েছে।আবরার কে নৃশংসভাবে ৭ ঘন্টা ধরে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে মারার পাশাপাশি তারা মেসেঞ্জারে ছবি ট্যাগ করেছে, রাতের খাবার খেয়েছে ও বার্সেলোনার খেলা দেখেছে। সেখানে ছাত্রলীগের আধিপত্যের নামে চলে দানবীয় অত্যাচার।

রুমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দলীয় কর্মী না প্রশাসক তা বোঝা যাচ্ছে না । সেখানকার ভিসি আবরার হত্যা ৩৮ ঘন্টা পর সামনে আসেন। পুলিশের প্রটেকশন নিয়ে তিনি আবরারের বাড়ী কুষ্টিয়ায় জান। সেখানে যাওয়ার পর দুই মিনিটে তার দোয়া শেষ করার নির্দেশনা আসে । হামলা করা হয় আবরারের ভাই ও পরিবারের উপর। নৃশংস হত্যাকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসক কোনভাবে দায়সারা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে মামলা করতে হয় আবরার এর বাবা কে সেখানে যে প্রক্টর, প্রভোস্ট প্রক্টর ও ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি আছে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।