×

জাতীয়

ঝিনাইগাতীতে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না পথচারীদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫৯ পিএম

ঝিনাইগাতীতে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না পথচারীদের
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার মাটিয়াপাড়া সিএনবি রোড থেকে সারিকালিনগর, গজারমারী হয়ে বাগেরভিটা বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। উপজেলার মাটিয়াপাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কোচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁও, আহম্মদনগর, কালিনগর, জরাকুড়া, পাইকুড়া ও ধানশাইলসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ এ পথে যাতায়াত করে থাকে। কালিনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া, তারা মিয়া, তুতা মিয়া, কোনাগাও গ্রামের লিটন মিয়া, মজনু মিয়াসহ গ্রামবাসিরা জানান, দেশস্বাধীনের পর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এ রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি উঠে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে রাস্তা নির্মাণের জন্য আশ্বাসও পাওয়া গেলেও আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটি নির্মাণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিনত হয়েছে। তিনি এবং গ্রামবাসীরা জানায়, রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে যেমন-তেমন প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। এ সময় গ্রামবাসীদের রাস্তা পারাপারে দূর্ভোগের সীমা থাকে না। এ সময় শতশত মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাড়ায় নৌকা। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণ করা না হলেও ২০০৪ সালে এ রাস্তার গজারমারীতে এলজিইডি’র প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ব্রীজ। রাস্তা নির্মাণ না করেই ব্রীজ নির্মাণ করায় এ ব্রীজটি কোন কাজে আসছে না পথচারীদের। বরং শুষ্ক মৌসুমেও সেতুটি গ্রামবাসীদের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারণ ও পাকাকরনের জন্যে জেলা ও উপজেলা সমন্বয় কমিটি সভা বিভিন্ন সময় আলোচনাও হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রস্তবনাও প্রেরন করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। তিনি বলেন,এ রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে হাজারো পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। সারা পাওয়া গেলেই রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App