×

আন্তর্জাতিক

বিতর্কিত স্থানে মন্দির, অন্যত্র মসজিদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:১২ পিএম

বিতর্কিত স্থানে মন্দির, অন্যত্র মসজিদ

ভারতের বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ওই স্থানে মন্দির নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অযোধ্যার অন্য কোনো স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি পাবেন মুসলিমরা।

স্থানীয় সময় শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা শুরু করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, পৌনে তিন একরের বিতর্কিত ওই স্থানটিতে একটি ট্রাস্টের অধীনে মন্দির নির্মিত হবে। আর মসজিদের জন্য কাছাকাছি অন্য স্থানে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করবে সরকার। পরে সেখানে মন্দির প্রাঙ্গণ নির্মাণ করবে তারা।

এর মধ্য দিয়ে বিতর্কিত ওই জমির ওপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্তৃত্বও খর্ব হলো, যারা মন্দির নির্মাণের জন্য মসজিদটি ভেঙেছিল। জমিটি এখন ট্রাস্টের অধীনে চলে যাবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড মন্দির নির্মাণসহ সেটির দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।

এর আগে ২০১০ সালে দীর্ঘ শুনানির পর এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল বাবরি মসজিদের ভূমি তিন ভাগে ভাগ করে বণ্টনের আদেশ দিয়েছিলেন। আদালত মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া আর রামনালা পার্টিকে সেখানকার ২ দশমিক ৭ একর জমি সমানভাগে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। হিন্দু-মুসলিম দুই পক্ষই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছিল। সেই আপিল নিষ্পত্তি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, সমভাবে ভূমি-বণ্টন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।

শনিবারের রায়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়া উভয় পক্ষের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। ভারতীয় সময় বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শেষ হয়।

এদিকে, মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সব রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেয়। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়।

এর আগে ২০ অক্টোবর থেকেই অযোধ্যা শহরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। মামলার রায় ঘোষণার পর চারদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এ আদেশ। অযোধ্যার নিরাপত্তা জোরদার করতে সেখানে প্রায় চার হাজার আধা সামরিক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।

অযোদ্ধার বিতর্কিত এই ভূমি মালিকানাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২ সালে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App