×
Icon ব্রেকিং
ইরানের ভূখণ্ডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ইরানের বিভন্ন শহরে বিমান চলাচল বন্ধ

জাতীয়

শুদ্ধি অভিযান ঘরে-বাইরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৭ এএম

শুদ্ধি অভিযান ঘরে-বাইরে
নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্সে’র অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন অভিযান শুরু করেছেন তিনি। নিজ ঘরে শুরু হওয়া এ অভিযানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘরের চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনায় চলমান শুদ্ধি অভিযানের পরিধি বাড়ছে সব সেক্টরে। গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এর স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারপ্রধান নিজেই। চলমান অভিযানকে সাম্প্রতিক-কালের দুর্নীতিবিরোধী সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষমতাসীন দল বলছে, শুদ্ধি অভিযানে এবার কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই কঠোর অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মহল। তবে এটি শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে এমন প্রশ্নও উঠেছে কোথাও কোথাও। এই অভিযানকে ‘আইওয়াশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। তবে এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এই অভিযানের শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সরকারি বাসভবন গণভবনে ন্যাম সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, দেখেন, অপেক্ষা করেন, ‘আইওয়াশ’ না কি তা দেখা যাবে। রাজনীতিবিদ ছাড়াও অন্য পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সময়ই বলে দেবে। আসলে বেছে বেছে ক্রাইটেরিয়া ঠিক করতে ধরা হচ্ছে না। যখন যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাকেই ধরা হচ্ছে। ধরা পড়ার পরে না বোঝা যাচ্ছে কে কী। কাজেই অভিযান যখন চলছে, তখন যেটা বের হওয়ার তা বের হবে। চলমান শুদ্ধি অভিযান শুধুই আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সব সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের জন্যই অশনিসংকেত এ মন্তব্য করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান ভোরের কাগজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘর থেকে এ অভিযান শুরু করেছেন। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে যেমন অভিযান চলবে, তেমনি সারাদেশের অপকর্মের সব রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনা হবে। ঘরে-বাইরে সর্বত্র এই অভিযান চলবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতে, সুশাসন নিশ্চিতের জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই সরকারের মূল্য লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ছাড় দেবেন না শেখ হাসিনা। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে গুড গর্ভন্যান্স চাই। জাতির কাছে আমাদের ইশতেহারেও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছি। যারা অপকর্ম করছে সে যেই হোক, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এদিকে নিজের ঘরের অভিযান শেষ হলে বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযান শুধু আওয়ামী লীগের লোকের বিরুদ্ধে নয়, এ অভিযান সবার বিরুদ্ধে চালানো হবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কে, কী করছেন? কোথায় বসে কী অপকর্ম করছেন? সব খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সময়মতো টের পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ঘরেরটা শেষ করে অপরেরটা ধরবেন। জালে সবার অপরাধ ধরা পড়বে। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন এ অভিযান চলবে। মদ, জুয়া, ক্যাসিনো বিএনপি শুরু করেছিল। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানে নেমেছেন। এই অ্যাকশন অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App