×

জাতীয়

বস্তিবাসীর দখলে কুয়াকাটার সৈকত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম

বস্তিবাসীর দখলে কুয়াকাটার সৈকত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পর্যটন নগরী কুয়াকাটার সৈকত এখন বস্তিবাসীর দখলে। কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে বেরিবাঁধের উপরে থাকা প্রায় দুই শতাধিক ঘর ভেঙ্গে নিয়ে রাতের আঁধারে সৈকতে স্থাপনা তৈরী করেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ৪৮ নং পোল্ডারে বেরিঁবাধ সংস্কার করার জন্য চীনা কোম্পানী কাজ শুরু করেন। ক্ষতিপূরণ টাকা পেয়েও অনেক জেলে পরিবার সাগরে মাছ ধরার স্বার্থে নিষেধ উপেক্ষা করে সৈকতে অবস্থান করছেন। সরকারের পক্ষে কয়েকবার উচ্ছেদ করলেও কিছুদির পর আবার ওই ঘরগুলি তৈরী করছে জেলেরা।ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নজরদারী না থাকার কারনে ওই ঘরগুলো তৈরি করছে জেলেরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,স্থানীয় পৌরসভা থেকে অনুমতি আনতে গেলে তারা বলেছেন সেখানে কোন ঘর তোলা যাবেনা। কুয়াকাটা ঘুরতে আসা পর্যটকদের নোংরা দুষিত এই পরিবেশ দেখে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দ্রুত এ বস্তিগুলো অপসারণ না করলে কুয়াকাটা থেকে আগত পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। চট্রগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক আব্দুল রহমান জানান, কুয়াকাটার কথা শুনে আমরা চার বন্ধু ঘুরতে এসে ভাল লাগছে। তবে বীচে নামতে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে খুব মর্মাহত। নোংরা পরিবেশ আর সাগর পারে বস্তির মত ঘরবাড়ি, জেলেদের নৌকা পরে আছে, জাল থেকে পচা মাছের দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র বারেক মোল্লা জানান,আমি জেলেদেরকে ঘরগুলো বালুর চরে ওঠাতে নিষেধ করেছি। তার পরও তারা বালুর চরে ঘর তুলেছেন। এ ব্যাপারে কুয়াকাটা বীচ-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিবুর রহমান মুনিব জানান, সৈকতে যে ঝুপরি ঘরগুলো রয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো অপসারণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App