জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। আর এ সম্পর্ক বজায় থাকলে বাংলাদেশ অনেক বেশি লাভবান হবে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে হোয়াইট হাউজ হোটেলে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার স্পিকার শ্রী রেবতী মোহন দাস। ভারত-বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ভারতের অনেকগুলো রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যগত ভাবেই সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল রয়েছে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে বন্ধু প্রতীম দুটি দেশের মানুষের মাঝে। বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে। জিএম কাদের আরো বলেন, আসামের ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রি অব সিটিজেন্স (এনআরসি) বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে এর কোনো বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও বারবার বলেছেন এনআরসির প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। আমরাও লক্ষ্য করছি, এরআরসির কোনো প্রভাব এখনো বাংলাদেশে পড়েনি। আমরা আস্থাশীল এনআরসি’র প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। সার্ক কালচারাল সোসাইটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি শ্রী রেবতী মোহন দাস বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের ৮০ ভাগ সীমান্ত বাংলাদেশের সাথে। ত্রিপুরা সব সময় বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে পাশে পেয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সম্পর্ক আরো গভীর করতে ত্রিপুরা সব সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রী আশীষ কুমার সাহা ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়। উপস্থিত ছিলেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজন দে, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নূরুল আজহার, জাপা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শারমিন পারভীন লিজা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার, ত্রিপুরার সিনিয়র সাংবাদিক শ্রী শানিত দেবরায়, ভারত বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ কার্যকরী সদস্য জয়ন্ত ভট্টচার্য, মোসাহিদ আলী, মোস্তফা কামাল, কল্যাণ গুপ্ত, অসিত ভৌমিক, দিনেশ চন্দ্র সরকার, ড. সৌমেন ভারদীয়, বিধান দাস গুপ্ত, রাজুমনি হোসাইন, জুবি হাজারিকা, ড. অতুল চন্দ্র কালিতা প্রমুখ।