পাকিস্তান সফরে গিয়ে ইতহাস গড়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। গত রবিবার ভারতের মাটিতে তাদের প্রথম হারিয়েছে মুশফিকরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হারিয়েছে ফারজানা-রুমানারা। ক্রিকেটে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও প্রমাণ করলেন নিজেদের ক্ষমতা।

সোমবার ( ৪নভেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনাকর এক ম্যাচে উপভোগ করেছে ক্রিকেট ভক্তরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১০ রানে অলআউট হয় স্বাগকিত মেয়েরা। জবাবে ফারজানার ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৯ ওভার পাঁচ বলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচ জিতে ড্র করেছে রুমানার বাহিনী। এ জয়ের ফলে শুধু ম্যাচ সেরাই নন, সিরিজ সেরাও হয়েছেন ফারজানা। এর আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের হারিয়েছে টাইগ্রেসরা।

পাকিস্তানের ২১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেটে ওপেনার মুরশিদা খাতুনকে নিয়ে ৮২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন ফারজানা হক। ৪৪ রান করে মুরশিদা আউট হন। দলীয় ১৬৬ রানে ৩১ রান করে আউট হন রুমানা। এরপর ৯৭ বলে ছয়টি চার হাঁকিয়ে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা। তিনি আউট হওয়ার পর ১৮ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ২০৫ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন পান্না ঘোষ তখন পরাজয়ের শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল সফরকারীদের। তবে জাহানারা ৭ ও নাহিদা ৪ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ম্যাচে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের দাপট ছিল। ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান তোলে পাকিস্তান। তবে আর কেউ পাকিস্তানের পক্ষে আর কেউ বড় স্কোর গড়তে পারেননি।

বল হাতে বাংলাদেশের ৩৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন লেগ স্পিনার রুমানা। এ ছাড়া সালমা দুটি ও পান্না ঘোষ একটি উইকেট নেন।