×

মুক্তচিন্তা

কতিপয় ছাত্র এমন উচ্ছৃঙ্খল হয় কেন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৯, ১০:১৫ পিএম

অধ্যক্ষকে এভাবে পানিতে ছুড়ে দেয়ার মতো বিপজ্জনক ঘটনা ঘটাতে ওই কলেজেরই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর সামান্যতম বিবেক কাজ করেনি- এটি ভাবতে আমাদের অবাকই শুধু হতে হয় না শিক্ষার্থীদের উচ্ছৃঙ্খলতা, বিবেকহীনতা, বেপরোয়া মনোবৃত্তি আমাদের ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। অধ্যক্ষ মহোদয় তো পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণও করতে পারতেন। ভাগ্য ভালো সেটি ঘটেনি। কিন্তু তারা তাদের পিতৃসম একজন অধ্যক্ষকে এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে পুকুরে নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেল সেটি কোনোভাবেই বোধগম্য নয়। ওই শিক্ষার্থীরা তো ওই কলেজেরই শিক্ষার্থী।

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অনুমতি না দেয়ার কারণে দল বেঁধে অধ্যক্ষকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনা সব মহলকে হতবাক করেছে। এর সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগতভাবে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে। বাকিরা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা উল্লেখ করা হয়নি। তবে ঘটনার পরপরই অধ্যক্ষ মামলা করায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্রলীগ অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছে, পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। কিন্তু একটি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে এভাবে পানিতে ছুড়ে দেয়ার মতো বিপজ্জনক ঘটনা ঘটাতে ওই কলেজেরই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর সামান্যতম বিবেক কাজ করেনি- এটি ভাবতে আমাদের অবাকই শুধু হতে হয় না শিক্ষার্থীদের উচ্ছৃঙ্খলতা, বিবেকহীনতা, বেপরোয়া মনোবৃত্তি আমাদের ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। অধ্যক্ষ মহোদয় তো পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণও করতে পারতেন। ভাগ্য ভালো সেটি ঘটেনি। কিন্তু তারা তাদের পিতৃসম একজন অধ্যক্ষকে এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে পুকুরে নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেল সেটি কোনোভাবেই বোধগম্য নয়। ওই শিক্ষার্থীরা তো ওই কলেজেরই শিক্ষার্থী। তাদের আবদারটি তো মোটেও ন্যায্য নয়। একটি অন্যায় আবদার নিয়ে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শুধু প্রবেশই করেনি, ঝগড়াঝাটি করেছে বলেও কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম লিখেছে। একজন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়ার বিধান যেখানে নেই সেখানে তারা কীভাবে কলেজ অধ্যক্ষকে জোরজবরদস্তি করে মানতে বাধ্য করতে ভাবতে পারে- সেটি বিস্ময়কর। এখানে ছাত্রলীগের একজন পদধারী ছাত্রকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। ছাত্র সংগঠন করার সুবাদে কেউ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও তাকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে এমন দায়মুক্তির কথা যারা লালন করে তারা আর যাই হোক ছাত্রনেতা হওয়ার মোটেও যোগ্যতা রাখে না, মানুষ হিসেবেও নিজেদের গড়ে তোলার অধিকার তারা হারিয়ে ফেলে- এটি মনে হয় এরা কখনো ভাবতে চায় না। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র সংগঠনের নামে তথাকথিত ছাত্রনেতারা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করে সেটি আমাদের কমবেশি জানা আছে। তারপরও আমাদের সমাজে ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে নিয়ে এক ধরনের আবেগ, অন্ধ ভাবাবেগ, অবাস্তব কাল্পনিক চিন্তাভাবনা অনেকের মধ্যেই কাজ করছে। এটি সাম্প্রতিক কালেরই প্রবণতা- তা আমি বলছি না। গত শতকের ষাটের দশকেও কিছু কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সাধারণ ছাত্রজীবনের নর্মস ভঙ্গ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করেছিল। এ ধরনের ‘ছাত্রনেতা’ বা ‘কর্মী’দের অনেকেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি। কারণ তারা লেখাপড়া করতে এসে ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হওয়ার পর হিরোইজমে ভুগতে শুরু করে, অন্যদের চাইতে নিজেদের শক্তি দাপট চালচলন ইত্যাদিতে ভীতিকর একটি অবয়ব দেয়ার চেষ্টা করে। এতে করে তারা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরে সরে গেছে। শ্রেণি পাঠ থেকে এরা দ্রুতই নিজেদের সরিয়ে নিয়ে মস্তানি, র‌্যাগিং ইত্যাদিতে অভ্যস্ত করে ফেলেছে। স্বাধীনতার পরও এই প্রবণতাটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেকের মধ্যেই লক্ষ করা গেছে। বিশেষত হোস্টেল ও হলে রুম দখল, যথেচ্ছ জীবনযাপন, প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ ইত্যাদি কাজে এদের এক ধরনের বাহাদুরিপনা দেখা গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ কলেজে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট করার পেছনে ছাত্র সংগঠনের এক ধরনের ভূমিকা রয়েছে। এক সময় সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, নির্মাণ, টেন্ডারবাজি, পরীক্ষায় নকলবাজি ইত্যাদিতে প্রশাসনকে বাধ্য করত। কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা অবাধে যাতায়াত করত, তাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে বাধ্য করত। এই প্রবণতাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অংশকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে উৎসাহিত করেছে। তারা তাদের শিক্ষক এবং প্রশাসনকে মর্যাদার চোখে দেখার চর্চা থেকে অভ্যস্ত হতে পারেনি বরং কলেজ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শক্তি জাহির করার মাধ্যমে নিজেদের অনেক বেশি শক্তিশালী মনে করতে শিখে। একজন বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষক হওয়ার জন্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করতে হয়, জানতে হয় সেটি- তাদের কাছে মূল্যহীন মনে হয়। অনেকে অবৈধ ক্ষমতা ও শক্তির চর্চা করে অর্থবিত্তের যেটুকু নাগাল পেয়েছে সেই ধারাতেই বাকি জীবন অনেক বেশি বিত্তশালী এমনকি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে বলে ভাবতে শুরু করে। কিন্তু ২০/২২ বছরের ঐসব তরুণ বড়জোড় এসএসসি-এইচএসসি সার্টিফিকেট অর্জন করেছে, অনেকেই মানহীন একটি স্নাতক ডিগ্রির সার্টিফিকেট হয়তো লাভ করেছে। এ দিয়ে তার পরবর্তী শিক্ষাজীবন বা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বা বিসিএস শিক্ষক হওয়ার ধারেকাছেও চিন্তা করতে পারে না। দুঃখজনক হলেও এই শিক্ষার্থীদের অনেকেই কলেজ শিক্ষার গণ্ডি কৃতিত্বের সঙ্গে পার হওয়ার লেখাপড়া করে না। তারা ছাত্রনেতা এবং কলেজে প্রশাসনের ওপর দাপিয়ে বেড়ানোর শক্তি প্রদর্শন করে নতুনভাবে যারা কলেজে আসে তাদের কাছে প্রভাবশালী হিসেবে আখ্যায়িত হতে সচেষ্ট থাকে। কিন্তু তারা জানে না এটি একজন শিক্ষার্থীর জীবন নয়, একজন উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীর জীবন। অথচ তাদের পিতামাতা তাদের পাঠিয়েছে কলেজে ভালো লেখাপড়া করতে কিন্তু তারা অসৎ সঙ্গে সর্বনাশের যে খেলায় জড়িয়ে পড়েছে তার পরিণতি বুঝতে মোটেও চেষ্টা করেনি। ফলে বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী মানসম্মত লেখাপড়া ছেড়ে কলেজে শিক্ষাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে অবস্থান নেয়, বিচরণ করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি করার চেষ্টা করে, পছন্দ না হলে মারধর করে, শিক্ষকদের সঙ্গে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, পরীক্ষার হলে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দাবি করে, সেটি পেতে ব্যর্থ হলে পরিদর্শক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। কারণ ততদিনে এরা আর নিজেদের শিক্ষাজীবনের প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না, নিজেদের তারা দায়মুক্তির নানা উছিলায় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সে কারণেই শিক্ষকরা এসব তথাকথিত শিক্ষার্থী, ছাত্রনেতাদের এড়িয়ে চলতে বাধ্য হন। বিষয়টি এখন শুধু কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন র‌্যাগিংয়ের নামে যা করে তা ভাবতেও অবাক হতে হয়। হল প্রশাসনে তারা শিক্ষকদের কোনোভাবেই নিয়মনীতিতে সিট বণ্টন করতে দেয় না। প্রশাসনে তাদের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের বাহিরে কোনোকিছুই সহজে মেনে নিতে চায় না। এ ধরনের বেপরোয়া মনোভাব এখন মেধাবী শিক্ষার্থী বলে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কম নয়। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়মনীতি, শৃঙ্খলা, অনুশাসন, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, ইত্যাদি বজায় রেখে শিক্ষাজীবনকে মূল্যবান করা, নিজেদের মেধামনন, চর্চা ইত্যাদিকে কীভাবে উচ্চতায় নিয়ে যেতে হয় সেই প্রক্রিয়ায় নিরন্তর যুক্ত না রেখে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যেভাবে সময় অতিবাহিত করে তা মোটেও উন্নত দুনিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর হলে থাকার যে সংকটে পড়ে সেটি একেবারেই ছাত্র সংগঠনগুলোর সৃষ্ট সংকট। নিয়মানুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষার পর হল থেকে বিদায় নেবে। কিন্তু কয়জন শিক্ষার্থী তা করে। ফলে নতুন শিক্ষার্থীর জায়গা কোথায়? এই বিড়ম্বনায় পড়তে গিয়েই অনেকে বড় ভাইদের সাহায্য প্রার্থনা করতে বাধ্য হয়। অথচ সমস্যাটি দেখার কথা হল প্রশাসনের। কিন্তু হল প্রশাসনের চাইতে শক্তিশালী প্রশাসন দাঁড় করিয়ে রেখেছে ছাত্র সংগঠন। এই ছাত্রসংগঠনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে গিয়ে অনেক তরুণ শিক্ষার্থী বড়দের অনুকরণে হিরোইজমে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তারাও একেকজন ছাত্রনেতা নাম অর্জনে ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। বলা চলে এটি এক চক্রবৃত্ত যা থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। অথচ এই শিক্ষার্থীদের অনেকেই যথেষ্ট গুণাবলি নিয়েই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী হওয়ার তেমন কোনো উপাদান আগে ছিল না। কিন্তু পরিবেশ তাদের শিক্ষকদের মর্যাদা দেয়ার চাইতে নিজেকে বড় করে দেখার প্রবণতায় টেনে নিয়ে গেছে। সে কারণে শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে এরা দল বেঁধে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, মারামারি করতে পারে, কুয়েটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নিজেরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা আমাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলছে তাতে মনে হয় আমাদের উচ্চশিক্ষা এদের মন, মনন, মেধা, বিবেক ইত্যাদি গঠনে খুববেশি কাজে লাগছে না। সে কারণেই রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের একদল শিক্ষার্থী কলেজের অধ্যক্ষকে এভাবে পানিতে ছুড়ে দিতে পারে। কোনো কোনো কলেজে অধ্যক্ষকে অপদস্ত করতে বিষ্ঠা নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা করে না। আরো অসংখ্য ঘটনা সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আমি বলছি না এই অপকর্মের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বা সমর্থন রয়েছে। তবে মোটামুটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী কোনো না কোনো অপরাধ, অপকর্ম, দুর্নীতি, শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড, উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে মোটেও দেরি করে না, নিজেদের বিবেককেও কাজে লাগায় না। এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। আমাদের তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ যেসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে তা শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবনকেই কালিমালিপ্ত করছে না, ব্যর্থ করে দিচ্ছে না, দেশ ও জাতিকেও মেধাশূন্যতার দিকে ধাবিত করছে, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত একটি তরুণ গোষ্ঠীকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে দিচ্ছে যারা সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতির ক্ষেত্রে বিষফোড়া হয়ে উঠছে। সুতরাং এখনই শিক্ষা সচেতন মানুষ, সরকার, রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষাঙ্গনকে মর্যাদার প্রতিষ্ঠানে গড়ে তুলতে নীতি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো অপরাধ শিক্ষাঙ্গনে স্থান পেলে অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App