×

খেলা

মুশফিক বীরত্বে বাংলাদেশের দিল্লি জয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৯ পিএম

মুশফিক বীরত্বে বাংলাদেশের দিল্লি জয়

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে জয়টা ছিল অধরা। সেই জয় অবশেষে এলো। টানা আট ম্যাচে হারার পর ভারতের বিপক্ষে রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে জয় পেল বাংলাদেশ।

আর এই জয়ের নায়ক বাংলার মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৪৩ বল খেলে ৬০ রান করে বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান তিনি। মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজই অধিনায়কত্বের অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর।

আর এমন অভিষেক ম্যাচেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন তিনি। এই মাহমুদউল্লাহই ছয় মেরে বাংলাদেশকে বহুকাঙ্ক্ষিত জয়টি এনে দেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তে ব্যাটিংয়ে ছিলেন বাংলাদেশের এই দুই কাণ্ডারি। সেবার ম্যাচ জেতাতে না পারার আক্ষেপটা মেটালেন এ দুজনই। ৪৩ বলে ৬০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলায় ম্যাচ সেরা হন মুশফিকুর রহিম।

টাইগারদের এই জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন, রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে এরআগে ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামে টাইগাররা। তবে ইনিংসের শুরুতেই লিটনের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও পরবর্তীতে সেই চাপ সামলিয়ে ওঠে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন প্রথমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু দিপক চাহারের বলে বাজে একটি শট খেলে কেএল রাহুলের হাতে একটি সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

তবে ওপেনিংয়ে নামা অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাইম ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে ধরে ধরে খেলতে থাকেন। ২৮ বল থেকে ২৬ রান তুলে চাহালের বলে আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে সৌম্যর সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন ৪৬ রানের পার্টনারশিপ। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। তিনি সৌম্যকে নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।

এদুজন মিলে পার্টনারশিপে করেন ৬০ রান। তবে খলিল আহমেদের ধীরগতির বলে পরাস্ত হন সৌম্য। ৩৫ বল থেকে ৩৯ রান করে বোল্ড আউট হয়ে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তবে এ সময় স্পিনার যুববেন্দ্র চাহালের বলে প্রায় ক্যাচ আউটই হয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। চাহালের বলে লেগে শট করেন তিনি। বাউন্ডারির কাছে যেয়ে সেটি ক্যাচেও পরিণত হয়। কিন্তু ক্রুনাল পান্ডিয়া তার সেই ক্যাচ ছেড়ে দেন।

অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে নেমেই দ্রুত রান তোলার চেস্টা চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গে মুশফিকও চালিয়ে যেতে থাকেন তার ব্যাটিং। ঊনিশ ওভারে মোহাম্মদ খলিলের বলে ব্যাক টু ব্যাক চার মারেন মুশফিক। এই ওভারেই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬ বরে ৪ রান। সেই চার রানটিও আসে ছক্কার মার থেকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App