নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য এক সন্তানের জননী সাহিদা ইসলাম দিপু ওরফে পারুল (২৩) নামের এক গৃহবধূকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী। বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। রোববার (৩ নবেম্বর) সকালে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের বক্তার পোল সংলগ্ন খালেক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে রকাক্ত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী নিজাম উদ্দিন (৩৬) পালিয়ে গেছে। সে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের খালেক মিয়ার বাড়ির খালেক মিয়ার ছেলে। গৃহবধূর মা রেজিয়া বেগম জানান, গত ১১ বছর আগে পাশ্ববর্তি এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে সিএনজি ড্রাইভার নিজামের সাথে মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে সে বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েকে মারধর করতো। সর্বশেষ সকালে যৌতুকের টাকার জন্য কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সে আমার মেয়েকে দা দিয়ে গলা গেটে হত্যার চেষ্টা করে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, তার গলা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে অপারেশন করা হবে, এখন অপারেশনের জন্য আলাদা রক্তের প্রয়োজন। সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে মৌখিক ভাবে জেনেছি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।