ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করতে আজ রবিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া নির্বাচনী আইন-১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) চূড়ান্ত করা এবং ১৯৭৬ সালের সীমানা পুনর্নির্ধারণ অধ্যাদেশের যুগোপযোগী সংস্কারের বিষয়ে আবারো উদ্যোগী হয়েছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ইসির গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনের বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সে বৈঠকের প্রথমে আরপিও চূড়ান্ত করা এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ অধ্যাদেশের যুগোপযোগী সংস্কারের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় কোনো ফলাফল আসার আগেই সন্ধ্যায় বৈঠক মুলতবি করতে বাধ্য হয় ইসি। আজ রবিবার আবার বৈঠক হবে, সেখানে তিন সিটি নির্বাচনের দিনক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সংস্কারের এ কার্যক্রম তো চলমান প্রক্রিয়া। কমিশন সভায় দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সীমানা অধ্যাদেশের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তাতে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ইসির সংস্কার সংক্রান্ত কমিটি কাজ করবে। রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবারের সভায় ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার আগেই তা মুলতবি করা হয়। আজ রবিবার আবারো সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিন সিটির বিষয়টি আজকের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনের গত বৃহস্পতিবারের সভায় ৮ এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০১৯ এর খসড়া পুনর্বিবেচনা, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণ, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রস্তুতি, স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন বিষয়ক নির্দেশনা, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ বাজেট এবং বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন ও প্রামাণ্যচিত্র তৈরি। ইসি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট হয়েছিল। এরপর ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে এবং চট্টগ্রাম সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছরের ৬ আগস্ট। সে হিসাবে ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এ মেয়াদ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত, দক্ষিণে ১৬ মে পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে। সে হিসেবে ডিসেম্বর থেকে দিন গণনা শুরু হবে।