ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘গ্রাম হবে শহর’। গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ।

রবিবার (৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের আয়োজনে স্থপতিদের পাঁচ দিনব্যাপী মিলনমেলা " আর্কএশিয়া ২০ ফোরাম” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘আর্কিটেকচার ইন এ চেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপ’।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়নে স্থপতিগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশ্বায়নের

এ যুগে নগরের ওপর চাপ বাড়ছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল নাগরিক জীবনে পরিবেশ, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্থপতিদের উদ্ভাবনী সক্ষমতার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ঢাকা শহরসহ সারা দেশে অসংখ্য নান্দনিক স্থাপণা রয়েছে। রয়েছে লুই আই কান নির্মিত অনন্য স্থাপত্য শৈলীর জাতীয় সংসদ ভবন—যা পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ আইন প্রনয়ন বিভাগের স্থাপনা। এ সময় তিনি পরিবেশ বান্ধব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থপতিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

সম্মেলনের মূল আয়োজন হয়েছে আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।এর বাইরে মানিক মিয়া এভিনিউ, হাতিরঝিল, জিন্দা পার্ক এবং সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরে সম্মেলনের বিভিন্ন আয়োজন থাকছে। এ আয়োজন ঘিরে ৩ থেকে ৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে নির্মাণ মেলার পাশাপাশি থাকবে আর্কএশিয়া ও আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার প্রাপ্ত ডিজাইনের প্রদর্শনী এবং সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ও গ্রিন অ্যান্ড সাসটেইনেবল আর্কিটেকচার শীর্ষক প্রদর্শনী।

আর্কএশিয়া বা আর্কিটেক্ট রিজিওনাল কাউন্সিল এশিয়া এশিয়ার ২১টি দেশের স্থপতিদের শীর্ষ সংগঠন। প্রতিবছর সংগঠনের যে সম্মেলন হয়, এ বছর সেটি বাংলাদেশে হচ্ছে। এশিয়ার ২১টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিনিধি ছাড়াও প্রায় দেড় হাজার স্থপতি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও আর্কএশিয়ার প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুরের স্থপতি রিতা সো।