×

জাতীয়

গাড়ি থেকে পালালেন বিসিবি পরিচালক, ড্রাইভার গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৩০ এএম

গাড়ি থেকে পালালেন বিসিবি পরিচালক, ড্রাইভার গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় গুলি ও মাদকদ্রব্যসহ বিসিবি পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজিজ ওই গাড়িতে থাকলেও পালিয়ে যান। তবে গাড়ি থেকে রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল (৪০) ও ছেলেকে (১৭) আটক করা হয়। পরে পরিবারের মুচলেকা নিয়ে এ দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সাদা রঙের পাজেরো জিপটি থেকে একটি প্যাকেটে থাকা ২৮ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার ২০০ ইয়াবা, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার ও ২২ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে গাড়িটিও। গতকাল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে শওকত আজিজ রাসেলের গাড়ি থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে শওকত আজিজ রাসেল ও গাড়িচালক সুমনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়েছে। শওকত আজিজ রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে গতকাল শনিবার সকালে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এসে শওকত আজিজ রাসেলের অবৈধ অস্ত্রটি উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করবে এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। এর আগে পুলিশ সুপারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার রাত ১টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে ঢাকার বাসায় নামিয়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন দেহরক্ষী নাজমুল হোসেন ও পুলিশ সুপারের গাড়িচালক জুয়েল মিয়া। রাজধানী তেজগাঁও সাতরাস্তার মগবাজার ফ্লাইওভারের মাঝখানে পৌঁছলে যানজটে আটকে পড়েন তারা। এ সময় গাড়ির চালক জুয়েল মিয়া হর্ন দিলে সামনে থাকা পাজেরো জিপ থেকে একজন লোক নেমে এসে পুলিশ সুপারের গাড়ির কাঁচে সজোরে আঘাত করে গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি গাড়ির দরজা খুলতে বলেন। তখন পুলিশ সুপারের গাড়িচালক জুয়েল মিয়া জানালা খুলে প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি তাকে হত্যার জন্য মাথায় পিস্তল তাক করে ধরেন। গাড়ি থেকে নেমে আসা ব্যক্তি শওকত আজিজ রাসেল পুলিশের লোক বুঝতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সুপারের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী পেছন থেকে সামনের জিপটিকে ফলো করতে থাকেন। জিপটিকে রাত পৌনে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দিকে আসতে দেখে মোবাইল ফোনে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জলিল মাতবরকে এসপির দেহরক্ষী নাজমুল বিষয়টি অবহিত করেন। পরে এসআই জলিলের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ গিয়ে জিপটিতে তল্লাশি চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিপটি থেকে বিপুল পরিমাণ গুলিসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। শওকত আজিজ রাসেল কৌশলে পালিয়ে যান। তবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গাড়িচালক সুমনকে। এ সময় গাড়িতে থাকা শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও তার ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দুইজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App