×

মুক্তচিন্তা

রাজনীতিতে ভারতবিরোধিতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৩ পিএম

বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী দেশ ভারত। যত সমস্যাই হোক না কেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বদলের কোনো সুযোগ কারো থাকে না। বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে ছোট প্রতিবেশীদের বনিবনা না হওয়াও স্বাভাবিক। নানা সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকে। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতার সম্পর্ক জাতীয় স্বার্থের জন্যই ক্ষতিকর। বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করাটাও কোনো সুস্থ লক্ষণ নয়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতবিরোধিতা একটি বড় উপাদান। আমাদের দেশের মানুষের একটি বড় অংশের মধ্যেই ভারতের ব্যাপারে এক ধরনের ‘রিজার্ভেশন’ আছে। ভারতের সমালোচনা করতে যতটা ভালো লাগে, ভারতের প্রতি সপ্রশংস হতে ততটাই অনীহা। এটা সেই পাকিস্তানি আমল থেকেই চলে আসছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এবং সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামকে দমন করার জন্য ভারতবিরোধিতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত। ভারত ছিল পাকিস্তানের শত্রু রাষ্ট্র। আর যেহেতু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, সেহেতু পাকিস্তানের রাজনীতিতে ধর্ম একটি বড় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত প্রধান রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের ভিত্তি ছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। পাকিস্তান ছিল মুসলমানের দেশ এবং ভারত ছিল হিন্দুর দেশ। কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানে যেমন হিন্দুসহ অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস ছিল, তেমনি ভারতেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস ছিল। তবে পাকিস্তান হয়েছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ আর ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল হিন্দু। দুই দেশেই অন্য ধর্মাবলম্বীরা ছিলেন সংখ্যালঘু।

দেশ ভাগের পর ভারত রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা অনুসরণ করলেও পাকিস্তান ছিল সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে প্রবল রেষারেষি না থাকলেও রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার ছিল। পাকিস্তানে প্রবলভাবে। ভারতে তুলনামূলক দুর্বলভাবে। তবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসকগোষ্ঠী শুরু থেকেই বাঙালির স্বার্থবিরোধী নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এখানে দ্রুত নতুন রাজনৈতিক আবহ তৈরি হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি এই দলের আস্থা বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতির পালে বাতাস জোগায়। তবে শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক এবং ভারতবিরোধিতার ধারা থেকে সরে আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এবং অপরাপর বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির সহযোগিতায় নানা চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে, ছোট-বড় নানা আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাঙালি উপনীত হয় স্বাধীনতার সংগ্রামে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের যুদ্ধ জয় সহজ হতো না। ধারণা করা হয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতবিরোধিতা কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠবে না। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতবিরোধিতা একটি বড় ব্যাপার হয়ে উঠতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে সরকারিভাবে ভারতিরোধিতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া না হলেও মওলানা ভাসানী এবং নতুন জন্ম নেয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদসহ আরো অনেকেই ভারতবিরোধী প্রচারণাকেই প্রধান উপজীব্য করেছিল। মুজিব-ইন্দিরা ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তিকে গোলামির চুক্তি বলে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। সরকারিভাবে ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করা হলেও আওয়ামী লীগবিরোধী মহলের প্রচারণায় ভারত কার্যত শত্রু রাষ্ট্রেই পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিও এই প্রচারণায় শামিল হয়েছিল। গোপনে গোপনে সারাদেশে এই প্রচার চলেছিল যে, মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ভেঙে দিয়ে বাঙালিদের উপকারের নামে ভারত আসলে মুসলমানদের বড় ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় লাভ হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশ হয়েছে ভারতের অনুগত বা তাঁবেদার রাষ্ট্র।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির উল্টোযাত্রা শুরু হয়। পাকিস্তানি ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার দিকেই যাত্রা শুরু করে নতুন ক্ষমতাসীনরা। বাংলাদেশের সব খারাপের জন্য ঢালাওভাবে ভারতকে দায়ী করা একটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়ায়। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ না হয়ে বৈরিতাপূর্ণ হয়েছিল। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারের ভারত নীতি বাংলাদেশের কতটুকু উপকারে এসেছে, তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। প্রকাশ্যে ভারতবিরোধিতা করা হলেও তলে তলে ভারতের জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে ছিল, তার একটিরও সম্মানজনক সমাধান করতে পারেনি ভারতবিরোধী বলে পরিচিত সরকারগুলো। যে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে গোলামির চুক্তি কিংবা দেশ বিক্রির চুক্তি বলে প্রচার করা হয়েছিল, সেই চুক্তি কিন্তু মুজিব-পরবর্তী কোনো সরকারই বাতিল করেনি। এমনকি এই চুক্তির বলে ভারত কখনো বাংলাদেশ দখল করতেও আসেনি। শেখ মুজিব যদি তাঁবেদার সরকার প্রধানই হয়ে থাকবেন তাহলে তাকে রক্ষার জন্যও ভারত কোনো অভিযান চালায়নি, সামরিক হস্তক্ষেপও করেনি। আসলে এসব ছিল উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এসব অপপ্রচারে বিশ্বাস করেছেন এবং এখনো করছেন। কেন বাংলাদেশে ভারতবিরোধিতা বাজার পায়, এর দায় কি পুরোটাই ভারতের? এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কি খুব বেশি চিস্তাভাবনা করেছি?

বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী দেশ ভারত। যত সমস্যাই হোক না কেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বদলের কোনো সুযোগ কারো থাকে না। বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে ছোট প্রতিবেশীদের বনিবনা না হওয়াও স্বাভাবিক। নানা সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকে। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতার সম্পর্ক জাতীয় স্বার্থের জন্যই ক্ষতিকর। বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করাটাও কোনো সুস্থ লক্ষণ নয়। আবার বড় প্রতিবেশী যদি সবক্ষেত্রেই বড় ভাই সুলভ আচরণ করে তাহলে সেটা ছোট প্রতিবেশীদের সার্বক্ষণিক মনোকষ্টের কারণ হয়। ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে যে, বাংলাদেশের প্রতি দেশটি সব সময় ন্যায়সঙ্গত আচরণ করেনি।

ভারতবিরোধী রাজনীতি করে যারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলেন তারা কিন্তু দেশের স্বার্থ আদায়ে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। পানি সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রসীমা, বাণিজ্য ঘাটতিÑ কোনোটারই সম্মানজনক সমাধান তারা করতে পারেনি। উল্টো ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে ভারতের সঙ্গে তিক্ততা বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিস্তার পানিসহ কিছু সমস্যা এখনো সম্পর্কের মধুরতায় করলার রস ঢালছে।

আশা করা হচ্ছিল, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী রাজনীতিতে অভ্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো অভিজ্ঞতার আলোকে নীতি-পদ্ধতি বদলাবে। ঢালাও ভারতবিরোধিতা পরিহার করে যেটা প্রশংসা করার সেটার প্রশংসা করবে, নিন্দনীয় যেটা সেটার নিন্দা করবে। ভারতবিরোধিতা এবং সাম্প্রদায়িকতা বাংলাদেশে সমার্থক। বিএনপি এই দুটিকে পুঁজি করেই রাজনীতি করে। বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা উপেক্ষা করার মতো নয়। ভারতকে অখুশি করে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকা যে দুরূহ সেটা না বোঝার কিছু নেই। শুধু উন্নয়ন করে যেমন কোনো দল বা সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ে না, তেমনি জনপ্রিয়তাই বর্তমান সময়ে ক্ষমতায় থাকার একমাত্র মাপকাঠি নয়। জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির বিচিত্র অবস্থানও ক্ষমতার রাজনীতিতে কখনো কখনো নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। বিএনপি এই বাস্তবতা বুঝেই গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বিএনপি নেতারা দিল্লিমুখী হয়ে ভারতবিরোধী বোলচাল বন্ধ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের অতি আস্থার জায়গাটা দখল করতে চেষ্টা চালিয়ে বিএনপি এখন পর্যন্ত সুফল পায়নি। বিএনপির মন পরিবর্তনের ফলে ধারণা করা হচ্ছিল, বাংলাদেশে বোধহয় ভারতবিরোধিতার রাজনীতির অধ্যায় শেষ হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর মনে হচ্ছে বিএনপি বুঝি পুরনো ধারায় ফিরে যাওয়ার কথাই ভাবছে। তিস্তা নদীর পানি না পেয়ে ভারতকে ফেনী নদীর পানির ভাগ দেয়াসহ এবার সম্পাদিত চুক্তি ও স্মারকগুলোকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আবার সরকারের ‘নতজানু’ নীতির সমালোচনা করছে। ‘দেশ বিক্রির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করছে। বলা হচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে ঝুলি ভরে নিচ্ছে আর বাংলাদেশকে দেয়ার ক্ষেত্রে তার কার্পণ্যের শেষ নেই! বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে কিন্তু এতে ভারতের লাভ ষোলোআনা, বাংলাদেশ বড়জোর এক টাকা দিয়ে তিন সিকি পেয়েছে।

বিএনপি আবার ভারতবিরোধী অবস্থানে যাওয়ায় জামায়াত, হেফাজতসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি পায়ের নিচে মাটি পেয়েছে। ভারতবিরোধিতাকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার অভিসন্ধিও হয়তো তাদের আছে। সব অপশক্তি যে জোটবদ্ধ হওয়ার সুযোগ খুঁজছে তা বোঝা যায় ভোলার ঘটনা থেকে। আওয়ামী লীগ সরকারকে বিতর্কিত ও জনবিছিন্ন করার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতের শর্তহীন অব্যাহত সমর্থন দেশের ভেতর সরকারবিরোধী শক্তিগুলোকে এক জায়গায় হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ-হামলা চালিয়ে ভারতকে ‘শিক্ষা’ দেয়ার কৌশল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হলে ভারতে তার ভিন্ন রকম প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে। কারণ দিল্লিতে এখন মসনদে আছে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক শক্তি। আগে ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। ফলে সেখানে মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনা ঘটলেও উগ্রবাদীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। বাংলাদেশের ঘটনায় ভারতে বদলা নেয়ার কথা কেউ ভাবেনি। তবে ভারতে কিছু ঘটলে তার ঝাপটা বাংলাদেশে লাগেই। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। হিন্দুত্ববাদ সেখানে বিপজ্জনকভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে হিন্দু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রান্ত হলে ভারতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। ভারতে সরকারি নীতি প্রণয়নে এখন আরএসএস নামক একটি হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনের প্রভাব প্রবল। আরএসএস একটি খুনে সংগঠন। মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে আরএসএস বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তারা কাউকেই মার্জনা করে না। পশ্চিমবঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশে যারা ভারতবিরোধিতাকে আবার চাঙ্গা করার চেষ্টা বা অপচেষ্টা করছেন তাদের মনে রাখতে হবে ভারতেও হিন্দু উগ্রবাদীরা সুযোগ সন্ধানে মুখিয়ে আছে। ঢিল মারলে পাটকেল খাওয়ার অবস্থা তৈরি হতে পারে। অতএব, সাধু সাবধান।

বিভুরঞ্জন সরকার: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App