×

জাতীয়

ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট কিনে পুরো ভবনই দখল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩৮ এএম

রাজধানীর টিকাটুলীর হাটখোলা সড়কের গ্লোব নিবাস বাইরে থেকে নোংরা ও জরাজীর্ণ দেখা গেলেও ওই ভবনের একটি আলিশান ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকতেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা ময়নুল হক মঞ্জু। গত ৯ বছর ধরে এখানেই বসবাস করে আসছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সেই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে র‌্যাব। এদিকে ভবন মালিকদের অভিযোগ, ক্রেতা হিসেবে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে উঠলেও পরে পুরো ভবনটি দখল করে নেন কাউন্সিলর মঞ্জু।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) র‌্যাবের অভিযানের সময় হাটখোলা সড়কের ১৫/২ গ্লোব নিবাসের ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখা যায়, সদর দরজা পেরিয়েই বিশাল ড্রয়িং রুম। এরপর খাবার রুম সংলগ্ন সিঁড়ি, তা দিয়েই দোতলায় প্রবেশ করতে হয়। সেখানে ৪টি রুমের প্রতিটিই গোছাল ও দামি আসবাবপত্রে ভর্তি। পরিবার না থাকলেও একটি কক্ষে একাই থাকতেন তিনি। পরে জানা যায়, ওই গ্লোব নিবাস পুরোটুকু দখল করেছেন মঞ্জু।

গ্লোব নিবাসের মালিক দাবিদার মো. ওমর ফারুক এ প্রতিবেদককে জানান, ওই ভবনটির জায়গার মালিক ছিলেন তার দাদা আবদুল কাদের। সেই সূত্রে তার বাবাসহ ৮ চাচা ও তিন ফুপু ওই জায়গার মালিক। ২০০১ সালে গ্লোব বিল্ডার্সকে ১৬ তলা একটি ভবন বানানোর জন্য দেন তারা। ২০০৭ সালের মধ্যে ২ বেজমেন্টসহ চারতলা তৈরি হয়। তখনই সেখানকার একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট কিনে তাতে ওঠেন কাউন্সিলর মঞ্জু। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্লোব বিল্ডার্সের মালিক গ্রেপ্তার হলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে পুরো ভবনটি দখল করে নেন মঞ্জু। এ ঘটনায় মামলা হলে রায় তাদের পক্ষে আসে। তবে কাউন্সিলরের দাপটে এখনো তারা সেই ভবনটি দখলে নিতে পারেননি।

এখানেই শেষ নয় কাউন্সিলর মঞ্জুর দখলদারিত্ব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মঞ্জু ও তার ক্যাডার বাহিনীর দৃষ্টি পড়ে টিকাটুলীর ১২, কে এম দাস লেনের একটি আশ্রমের ৭ বিঘা ১৬ কাঠা সম্পত্তির ওপর। এই সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে ইতোপূর্বে সংবাদ সম্মেলন করেছে শ্রীশ্রী স্বামী ভোলানন্দগিরি আশ্রম ট্রাস্ট। ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টিরা জানান, ওই জমিতে শ্রীশ্রী স্বামী ভোলানন্দগিরি আশ্রম কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। সনাতন ধর্মীয় চর্চার উদ্দেশ্যে স্বর্গীয় যোগেশ চন্দ্র দাস ও তার ছোট ভাই স্বর্গীয় শচীনন্দন দাস ২০১২ সালের ২৩ জুন ৩৬৩৪নং রেজিস্টিযুক্ত দলিলে এই জমি দান করেন। মঞ্জুসহ প্রভাবশালী একটি মহলের যোগসাজশে আশ্রমের শত কোটি টাকা মূল্যের ওই জমির কিছু অংশ জবরদখল হয়ে আছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৩ এর উপপরিচালক মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তার ফ্ল্যাটে মাদক পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App