×

জাতীয়

১৯৮০ সালে জম্মেও কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম

১৯৮০ সালের জুলাইয়ের ৩ তারিখে জম্মেও চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলার মিজানুর রহমান কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হলো সেবিষয়ে প্রশ্ন রেখেছে জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তার নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেকারণে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে পরবর্তিকার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। জনৈক মিজানুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ৯ বছর পরে জম্ম গ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় কিভাবে এলো তা তদন্ত করে দেখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জনৈক মিজানুর রহমান (পিতা মৃত আব্দুল মজিদ) ১৯৮০ সালের ৩ জুলাই জম্ম গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৮-৯ বছর পরে জম্মেও তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভুক্ত হয়ে সব ধরনের ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা কিভাবে সম্ভব হলো এবং তার নাম বাদ দিতে আইনগত কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেবারও সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে- মিজানুর রহমানের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলার হাজিগাঁও গ্রামে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, এটি আসলে মুক্তিযুদ্ধের পরে কমিউনিস্ট-ন্যাপ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া তালিকায় ভুলক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তিতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে আরো ২৪ জনের বয়স অবাস্তব কম থাকায় আমরা এদের নাম বাদ দেবার জন্য প্রজ্ঞাপণ জারি করি। কিন্তু এ ২৪ জন উচ্চ আদালতের স্বরণাপন্ন হলে আদালত তাদের নাম বাদ না দেবার নির্দেশ দেয়। পরে আপিলেও অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের নাম তালিকাভুক্ত রাখার পক্ষে রায় দেন আদালত। সেকারণে আমরা কোর্টের নির্দেশ মেনে তাদেরকে তালিকায় রেখে দিতে বাধ্য হচ্ছি। তবে এ বিষয়ে আমরা আইনী পরামর্শ নেবার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের স্বরণাপন্ন হবো। তারা কি পরামর্শ দেয় সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে- মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহারকারী সংগঠনগুলোর নাম, ঠিকানা এবং রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংগঠনগুলোকে নিবন্ধিত করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া রাজাকারদের তালিকা চুড়ান্তকরণের লক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।

এছাড়া যেসকল জেলা/উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে সেগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চুড়ান্ত যাচাই বাচাইকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করার বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে স্বল্প সুদে মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ দেয়া এবং রাজাকারদের তালিকা চুড়ান্তকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App