×

মুক্তচিন্তা

শুদ্ধি অভিযানে পরিশুদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম

জনগণ কামনা করে নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাসম্ভব মানুষের কাছে ক্লিন ইমেজ নিয়ে দাঁড়াক। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সাংগঠনিক ক্ষেত্রে একটা অতি উত্তম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন উৎসবের আগে মূল দলসহ সহযোগী সংগঠনের সব সম্মেলন সেরে ফেলার। এতে বোঝা যাচ্ছে ক্লিন হয়েই আওয়ামী লীগ ওই পবিত্র দিনগুলো পালনের দিকে যেতে চায়।

অবস্থাদৃষ্টে এমনটাই মনে হচ্ছে যে, চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনিশ্চিত একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই অভিযান উপরে-তৃণমূলে কতদূর অগ্রসর হবে, চলমান থাকবে নাকি বন্ধ হবে, যারা ধরা পড়েছে তারা কার কার নাম দিচ্ছে, কারা কারা আঘাতপ্রাপ্ত হবে প্রভৃতি প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অন্ধকারে থাকায় এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুদ্ধি অভিযান নিঃসন্দেহে দেশ ও জনগণ আর সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বার্থেই পরিচালিত হচ্ছে। যদি তাই হয় তবে তো জনগণের আস্থাভাজন ও ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। এ নিয়ে তেমন কোনো ধরনের উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তৃণমূলে সুকৌশলে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, অভিযানে কি আওয়ামী লীগ উপকৃত হবে? পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দলের অভ্যন্তরের অবস্থা নিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিন ধরনের মনোভাব দলের মধ্যে বিরাজমান। প্রথমত শুদ্ধি অভিযানে ক্যাসিনো-টেন্ডারকাণ্ডে যুক্ত আঘাতপ্রাপ্ত অংশ। খবরাখবর থেকে জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২২৩ জন, ঢাকার বাইরে ৫৩ জন এবং যুব-কৃষক-আওয়ামী লীগ মিলিয়ে নেতা কয়েকজন। ২২ জন নেতার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং বহিষ্কার-অব্যাহতি-কর্মকাণ্ডে বিরতি মিলে ১১ জন নেতা রয়েছেন। নীতি-নৈতিকতাহীন অবৈধ, অসৎ ও ক্ষতিকর কাজে যারা সরাসরি কিংবা চেইনে জড়িত, তাদের কতটা অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তা জানা না গেলেও নির্দ্বিধায় বলা যায়, নিজ দলের অন্ধকার জগতের নেতা-ক্যাডারদের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযান এর আগে দেশের ইতিহাসে আর কখনো পরিচালিত হয়নি। এটা দলের শক্তির পরিচায়ক। এটা কার না জানা যে, অবৈধ-অনৈতিক ক্ষতিকর কাজে দলাদলি থাকে। এই জগতে দুর্দমনীয় গ্রুপের সঙ্গে সবসময়েই থাকে কোণঠাসা গ্রুপ। এই কোণঠাসা গ্রুপ মনে করছে, তারা এ যাত্রায় বেঁচে যাবেন। তাই তারা ক্রমেই সময়-সুযোগ বুঝে নানা রূপে শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে আসবে। ধৃত ও অভিযুক্ত পক্ষের বড় একটি অংশ ক্রমে ওই পক্ষে যোগ দেবে। অবৈধ জায়গায় বসা একটি ছোট বাজারের কথা জানি। শুদ্ধি অভিযানের পর ওই বাজারটি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন বাজারটি আরো সংগঠিত ও সাজানো রূপ পেয়েছে। এক দোকানি বলছে, আগে দিতাম দুশ টাকা, এখন দিচ্ছি আড়াইশ টাকা। এক কথায় বলা যায়, কাটলে দূর্বা যেমন শক্ত হয়ে বেড়ে ওঠে, তেমনি অন্ধকার জগৎও আঘাত পেলে নতুন রূপ নিয়ে আবারো আসন পেতে বসে। এই দুয়ের শক্ত অবস্থানের কারণেই ভালো যারা, যারা এখন দেশ ও মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে কাজ করতে চান এবং দলে সিংহভাগ, তাদের মধ্যে আশা জাগ্রত হলেও এগিয়ে এসে শুদ্ধি অভিযানের পক্ষে সোচ্চার হচ্ছেন না। যতদিন জিরো টলারেন্স আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়ে অন্ধকারের শক্তি উৎসগুলোকে একটা পর্যায় পর্যন্ত তছনছ, ছিন্নভিন্ন ও পদানত না করবে, ততদিন পর্যন্ত দেশের জন্য শুদ্ধি অভিযানের পক্ষে দল ও জনগণের মনে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে না। অনিশ্চিত অবস্থা কখনো উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টির সহায়ক নয়। আর উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়ে দল ও জনগণ যদি সক্রিয় ও উদ্যোগী হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জিরো টলারেন্সের পক্ষে না দাঁড়ায়, তবে শুদ্ধি অভিযানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কার্যত সফল হবে না। তাই শুদ্ধি অভিযানের একটা পর্যায়ের সমাপ্তি এবং পরেও চলমান দেখলেই কেবল এর পক্ষে দলের সিংহভাগ আর সেসঙ্গে জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নামবে। প্রসঙ্গত, গণভবনে যুবলীগের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কারবার, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কে আমার আত্মীয়, কে আমার দলের বড় নেতা- তা দেখে অভিযান থামবে না। আমার আত্মীয়রাও পার পাবেন না। অভিযান চলছে, চলবে।’ তিনি এমন কথা বলায় অভিযানের সীমারেখা কিংবা বলা যেতে পারে ফললাভের প্রত্যাশা কিন্তু দল ও জনগণের মধ্যে আশাতীতভাবে বেড়ে গেছে। পদবি ব্যবহার করে অপকর্ম করবে, দলের বদনাম করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স কার্যকর হবে।’ কিন্তু প্রশ্ন হলো, দলীয় পদ-পদবি থেকে যদি কেউ বাদ না যায়, তবে তার বিরুদ্ধে কি আইন নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে? অভিজ্ঞতা থেকে এবং অবস্থাদৃষ্টেও মনে করার কারণ রয়েছে- পারবে না। এখানে বলতেই হয় যে, আওয়ামী লীগ অভিযুক্ত ও বিতর্কিতদের দায় নেবে না ঠিক আছে। কিন্তু জিরো টলারেন্স ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে ওয়াদাবদ্ধ ঐতিহ্যবাহী সংগ্রামী দলটির দায়মুক্তি তো ঘটাতে হবে। দলকে যথাসম্ভব ও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্লিন না করে কি দায়মুক্তি ঘটবে? অবশ্যই ঘটবে না। সহজেই ধারণা করা যায়, এক-দুজন করে দল থেকে বের করে না দিয়ে, যথাসম্ভব এই অপশক্তিকে বাতিল বা কোণঠাসা করতেই মূল দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে দ্রুত সম্মেলন করার দিকে ধাবিত করছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কেননা সম্মেলনের আগে কম্বল থেকে লোম বেছে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখা বেশ কঠিন ও জটিল। ইতোমধ্যে অবস্থা দেখিয়ে দিচ্ছে, সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ উদ্যোগে কাউকে দল থেকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি দিতে পারছে না। তেমন শক্তি ও সামর্থ্য সংগঠনগুলোর নেই। কাউকে বাদ দেয়া কেবল নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। সংগঠন নিজে যদি নিজেকে ক্লিন করার মতো অবস্থানে যেতে না পারে, তবে কি ওপর থেকে সবটা ক্লিন হতে পারে? সব যদি চলে যায় নেত্রীর ওপরে তবে দলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ক্লিন হওয়া কতটা যে জটিল ও কঠিন, তা বোধ করি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সর্বোপরি ক্লিনপর্বে যদি সরকারি প্রশাসন যন্ত্র সর্বেসর্বা হয়, তবে তা কেবল দলের জন্য শুভই নয়, অবমাননাকরও। আর সরকারি প্রশাসন যন্ত্রও তো ধোয়া তুলসীপাতা নয়। এতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে পড়ারও সম্ভাবনা থাকে। জনগণ কামনা করে নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাসম্ভব মানুষের কাছে ক্লিন ইমেজ নিয়ে দাঁড়াক। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সাংগঠনিক ক্ষেত্রে একটা অতি উত্তম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন উৎসবের আগে মূল দলসহ সহযোগী সংগঠনের সব সম্মেলন সেরে ফেলার। এতে বোঝা যাচ্ছে ক্লিন হয়েই আওয়ামী লীগ ওই পবিত্র দিনগুলো পালনের দিকে যেতে চায়। প্রসঙ্গত বলতেই হয় যদি ক্লিন হয়ে আওয়ামী লীগ রূপকল্প ২০২১ সমাপ্ত করার পথে যেতে পারে, তবে নিঃসন্দেহে তা হবে আওয়ামী লীগ দল ও দেশের জন্য অতি উৎসাহজনক বিষয়। যা অতীতের অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সমতুল্য হতে পারে। তবেই কেবল জাতীয় জাগরণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশবাসীকে উৎসবের দিনগুলো উপহার দিতে পারে। পারবে কি আওয়ামী! অতীতে অনেক বাধাবিপত্তি উৎরিয়েছে এই দল ও নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবারেও পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে আস্থা রাখছে। কলামটা শেষ করছি সবশেষে একটা কথা বলে। ক্রমেই দেখা যাচ্ছে এলাকায় এলাকায় ভয়াবহ এক স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে গড়ে উঠছে তৌহিদী জনতা নামে সংঘবদ্ধ এক জনগোষ্ঠী। ভোলা লঙ্কাকাণ্ডে শেষ পর্যন্ত এর নাম হয়েছে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। এদের শক্তি এতই যে, এদের কাছে থানা-পুলিশ অকার্যকর। মুহূর্তেই এই শক্তি নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে পুলিশকে অকার্যকরই কেবল নয়, ঘেরাও করেও ফেলতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে পর্যন্ত তারা প্রত্যাহার করার কথা বলছে। নিরীহ মানুষ তো তাদের কাছে তুচ্ছ! অতীতে দেশে বিপথগামী ও বিদ্রোহী আর্মি বাদে স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাঙালি জাতিসত্তার সমর্থক ছাত্রসমাজ। স্বৈরাচারী এরশাদ পতনের আন্দোলনের সময় মনে করা হচ্ছিল, শ্রমিক ও গ্রামাঞ্চলের মেহনতি মানুষ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে হয়তোবা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু ওটা হয়নি। ছাত্রসমাজ এখন আবার স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দাঁড়াতে পারবে, এমনটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। কেননা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডের পর চলছে ছাত্র আন্দোলন-সংগঠন শিক্ষাঙ্গন থেকে বেআইনি করার তোড়জোড়, যার পরিণাম অজানা। তাই বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ক্রমেই শক্তিশালী ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে ওই শক্তি। সত্য-মিথ্যা জানি না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ভোলায় পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার পর ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আওয়ামী লীগের এমপিদের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে সাহায্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু আক্রমণে সেখানকার সংখ্যালঘু ক্ষতিগ্রস্তরা এমপিদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাননি। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য অবশ্য করতেই হবে। কিন্তু এ থেকে একটা বার্তা আসছে তা হলো এই স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রতি সাধারণ মানুষ সহানুভূতিশীল। ক্রমজাগ্রত ফোর্সের প্রতি ক্ষমতাসীন জোট যতই সহানুভূতি প্রকাশ করুক এবং ছাড় দিক না কেন, সময় ও সুযোগে তারা ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষে দাঁড়াবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। এদিকে বর্তমান ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বিশ্বে ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে দেশে দেশে ছোটখাটো ইস্যু নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন এবং সেগুলো ক্রমে গণআন্দোলনে রূপ পাচ্ছে। আমাদের দেশে রয়েছে চলমান নানা ইস্যু। রাজনৈতিক সংকট যে রয়েছে, তা তো ক্ষমতাসীন জোটের এমপি রাশেদ খান মেননের কথা এবং ১৪ দল-ওয়ার্কার্স পার্টির চিঠি চালাচালি থেকেই সুস্পষ্ট। আর নতুন ইস্যুও আকস্মিকভাবে যে সৃষ্টি হয় এবং সংঘবদ্ধভাবে দানা বেঁধে ওঠার প্রবণতাও যে রয়েছে; তা কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড প্রভৃতি থেকে সুস্পষ্ট। এই দিক বিচারে আওয়ামী লীগ ক্লিন হয়ে মানুষের মন জয় করে দাঁড়ানো ভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের জাতীয় মূলধারার রাজনীতির আর বিকল্প কিছু নেই। যে যা-ই বলুক, যত সমালোচনা হোক, মূলে ভরসার জায়গা একান্ত এবং এককভাবে আওয়ামী লীগই। শুদ্ধি অভিযানের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিশুদ্ধ হয়ে মানুষের মন জয় করার পথে এগিয়ে আসুক, এটাই আজকের একান্ত কামনা।

শেখর দত্ত : রাজনীতিক, কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App