×

জাতীয়

ভোলায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৫০ পিএম

ভোলায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এক গৃহবধূকে তার সন্তানের সামনে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলায় ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুরে ধর্ষণচেষ্টার আসামিকে গ্রামবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত আসামিকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিচে এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট
ভোলা : এক গৃহবধূকে তার সন্তানের সামনে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলায় ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া এলাকা থেকে রবিবার রাতে নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান। নজরুল (৩০) ওই ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের আজগর আলী চৌধুরীর ছেলে। ইউনিয়নের চরপিয়াল এলাকায় রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নজরুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ রায় জানান। এ মামলার বাকি আসামিরা হলো একই ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরণ (২৬)। মামলার বিবরণ দিয়ে ওসি সাংবাদিকদের বলেন, চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচায় বাবার বাড়ি থেকে আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে বেতুয়া লঞ্চঘাট হয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি স্পিডবোটে করে ওই গৃহবধূ মনপুরায় শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। পথে বোটের যাত্রীরা বোটটিকে জোরপূর্বক পাশের নির্জন চর পিয়াল এলাকায় নিয়ে সন্তানের সামনে তাকে ধর্ষণ করে। পরে নজরুল ইসলাম আরেকটি স্পিডবোটে চর পিয়াল গিয়ে গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নজরুল ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ওসি বলেন, এ মামলার বাকি আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। মহাদেবপুর (নওগাঁ) : নওগাঁর মহাদেবপুরে ধর্ষণচেষ্টার আসামিকে গ্রামবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত আসামিকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের পবাতৈড় গ্রামে। ওসি মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ওই গ্রামের গৃহবধূকে (৩০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গত ১ জুলাই প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র শীলের ছেলে পলাশ কুমার শীলের (২৪) বিরুদ্ধে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ওই মামলার বাদী গৃহবধূ অভিযোগ করেন গত রবিবার গভীর রাতে তার দোতলা বাড়ির শয়নকক্ষে আসামি পলাশ কুমার শীল আবারো ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী মোবাইল ফোনে গ্রামবাসীসহ স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দিলে প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পলাশ কুমার শীলকে আটক করে গণধোলাই দেন। গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত পলাশকে পুলিশে সোপর্দ করার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে গণধোলাইয়ের অভিযোগ মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন আসামি পলাশের বাবা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এরশাদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে আসামি পলাশকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) : রুহিয়ায় গভীর রাতে ব্যক্তিগত কাজে ঘরের বাইরে এসেছিল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। আর এ সুযোগে বন্ধুর সহযোগিতায় মুখ চেপে ধরে তাকে প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী একাধিকবার ধর্ষণ করে এলাকার এক বখাটে ছেলে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁও গ্রামে। এ ঘটনায় গত রবিবার বিকেলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, মেয়েটি স্থানীয় ৩নং কশালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বিকেলে তার পরিবারের লোকজন স্কুলছাত্রীকে থানায় নিয়ে এলে মেয়েটির মুখে ঘটনা শোনার পর ধর্ষক ও তার সহযোগী বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁও গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৮) ও তার সহযোগী একই গ্রামের ইন্তাজুল হকের ছেলে রাশেদ (১৮)। মেয়েটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App