×

জাতীয়

কসবায় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রেনের গার্ডকে মারধোরের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০২:৪১ পিএম

কসবায় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রেনের গার্ডকে মারধোরের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনের গার্ডকে মারধোর করে লাথি দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের এসআই কামাল হোসেনসহ দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। আহত গার্ড মহিউদ্দিন গত সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ অভিযোগে অভিযুক্ত এসআই কামাল হোসেনকে গত সোমবার প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহত মহিউদ্দিন জানান, রোববার(২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তিনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস ১২ ডাউন ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত সোয়া ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইমামবাড়ি রেল স্টেশনে এসে তাদের ট্রেনটি ৩নং লাইনে প্রবেশ করে। শেষের দিকের বগিতে ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সিলগালা ছিলো। তিনি বগি চেক করতে গিয়ে টর্চ মারলে তা পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের গায়ে পড়ে। তখন তারা তাকে গালমন্দ করে, এক পর্যায়ে তারা তাকে তাদের নিকট যেতে বললে তিনি না গিয়ে তাদের ট্রেনের নিকট ডাকেন। কাছে এলে দেখেন তারা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে চোখে টর্চ কেন মারলো বলে আবার গালমন্দ করে। তিনি ট্রেনের গার্ড পরিচয় দিলেও এক পর্যায়ে তারা তাকে মারধর শুরু করে। তাদের আঘাতে তার হাত-পা যখম হয়। তাকে জোরপূর্বক নামিয়ে নিতে চাইলে তিনি রড ধরে থাকেন। এসময় পেছন থেকে তাকে লাথি দিয়ে ট্রেন থেকে নিচে পাথরের উপর ফেলা হয়। পরে তাকে হাতকড়া লাগিয়ে টেনে হিচড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে স্টেশন মাস্টার তাকে গার্ড বলে সনাক্ত করেন। এরপর হাতকড়া খুলে দেয়া হয়। পরে ট্রেনে চড়ে মহিউদ্দিন কসবা স্টেশনে আসেন। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে এসে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কসবা থানার এসআই কামালের নেতৃত্বে কনস্টেল মাজেদুলসহ অন্যরা তাকে মারধর করে। অপরজন নাজমুলের পড়ে যাওয়া নামফলকটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। অভিযুক্ত কসবা থানার উপ পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন বলেন,ওই এলাকায় ডাকাতি হতে পারে বলে পুলিশের কয়েকটি টিম স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় কাজ করছিলো। ইমাম বাড়িতে ট্রেনটি থামার পর কেউ একজন বার বার চোখে আলো ফেলছিলো। আমরা ভাবলাম অপরাধীদের কোন সোর্স আমাদের ফলো করছে। কাছে ডাকলে আমাদের গালমন্দ করে। গার্ড পরিচয় দিলেও তার গায়ে গার্ডের কোন পোষাক ছিলো না। তাকে মারধর কিংবা লাথি দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তাকে নামিয়ে আনতে হয়তো চোট লাগতে পারে। রেলওয়ে কুমিল্লার উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, গার্ড মহিউদ্দিনকে পুলিশ মারধর করেছে। তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, এস.আই কামাল হোসেনের প্রত্যাহারের আদেশ পাওয়ার পর তাকে কসবা থানা থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে যোগদান করেছেন। ।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App