×

সাহিত্য

প্রকাশকদের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম

প্রকাশকদের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা

প্রকাশকদের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা

কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানালো বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। এই প্রথমবারের মত সমিতির সদস্যদের সন্তানদের জন্য এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক আনিসুল হক ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ ড. মুনতাসীর মামুন। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সাংগঠনিক পরিচালক হাসান জায়েদী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে এম খালিদ বলেন, এখানে যারা বেধাবী আছে কোন এক সময়ে তারা নোবেল পেতে পারে একথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এটা অসম্ভব কিছু না। আমাদের প্রত্যেকের এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা করা উচিৎ। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি শিক্ষা সেক্টরটাকে কিভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায়। যারা আজ সংবর্ধিত হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাই, তাদের সেই গর্বিত পিতা মাতার প্রতিও আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক। তিনি বলেন, আজকের এই আয়োজনে যারা উপস্থিত হয়েছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, আজ এখানে যে ১১ জন কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় এসেছ, তোমরা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই ভাল রেজাল্ট করেছে। বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছ, তোমরা আমাদেরও মুখ উজ্জ্বল করেছ। তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আজ দেশের অনেক গুরুক্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তোমাদের জন্য এসেছেন। এটাকে তোমরা একটা অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে নিও। তোমাদের জীবনের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা হচ্ছে এখন। তোমরা সবাই দেশ ও দেশের মানুষের উপকার করার জন্যে কাজ করে যাবে।

কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, শিক্ষায়তনে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তার প্রেক্ষিতে বছরান্তে যে ফলাফল হয় তা ভাল করার সবারই একটি আকাঙ্খা থাকে। তার ভেতর দিয়ে যেমন শিক্ষার পথটি প্রসারিত হয়, সেভাবে জীবনেরও একটি পথ প্রসস্ত হয়। যা মৃত্যু পর্যন্ত বহাল থাকে। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা যেন বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রেক্ষিতে এবং সর্বজনীন ভাবে পৃথিবীর প্রেক্ষিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। নিজের দেশ ও কর্মফলকে নিয়ে গর্ব করুক, সর্বপরী মাতৃভূমির প্রতি তাদের অহংকার বিস্তারিত হউক সারা পৃথিবীতে।

এরপর অতিথিরা কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ১১জন কৃতিশিক্ষার্থীরা হচ্ছে-শতাব্দী দাস, মাসফিয়া যাহীন, অর্না দাস, কে এম রায়ীদ জাকওয়ান, ফারিয়া তাহসিন রহমান, নুসরাত ইসলাম, সাবিহা ইসলাম নিপু, মাহির শাহরিয়ার খান, তাসনুভা পায়েল আনমনা, তাসমিনা পায়েল তনমনা ও ইমরুল কায়েস খান।

ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, আমাদের সময়ে আমরা কখনও এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখিনি। অবশ্য তখন এত কৃতি শিক্ষার্থী ছিল না। অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান জরুরী।এতে যারা সংবর্ধনা পাচ্ছে তাদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়। তাদের নতুন কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়। এখনকার মত বিদ্যাচর্চার এই ব্যাপারটা আমাদের কাছে কখনও ভয়াবহ মনে হয়নি। স্কুলের লাইডব্রেরি থেকে আমাদের শিক্ষকরা প্রতি সপ্তাহে বাধ্য করতেন একটা বই পড়ার জন্য। খেলাধুলা ছিল, সাংস্কৃতিক চর্চা হত। এই সব কিছু মিলে আমাদের ছেলেবেলা এবং কৈশোরটা কেটেছে। এখনকার ছেলে মেয়েরা দেখছি সারাক্ষণ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটছে। আমরা যদি ক্লাশরুমের বাইরে বাংলাদেশে কি হচ্ছে এটা না জানি, তাহলে আমরা নিজের দেশকে জানব না। আমরা যদি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ না নেই তাহলে এ দেশের সংস্কৃতি কি তা জানব না। এতে করে আমি ভাল শিক্ষার্থী হব, ভাল রেজাল্ট করব তারপর আমি বিদেশ চলে যাব। তাহলে আমাদের দেশটার হবে কি?

সংবর্ধিতদের মধ্যে মাসফিয়া যাহীন ও মাহির শাহরিয়ার খান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের পুরস্কৃত করার জন্য আমরা খুবই খুশী। আমরা যেন বড় হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। আপনাদের দোয়া ও আশির্বাদ আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App