×

জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আজহারের রায় শিগগিরই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৫৩ এএম

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আজহারের রায় শিগগিরই
মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় শিগগিরই। যে কোনো দিন এ মামলার আপিলের রায় ঘোষণা হতে পারে বলে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গত ১০ জুলাই আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আশা করি এই মামলার রায় দ্রুতই ঘোষণা করা হবে। আমি শুনানিতে বলেছি, ট্রাইব্যুনাল বিচার-বিশ্লেষণ করেই মৃত্যুদণ্ডার রায় দিয়েছিলেন। তাই ট্রাইব্যুনালের সে সাজায় হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই। আমি আশা করি ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডার রায়টিই আপিল বিভাগ বহাল রাখবেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, যুদ্ধাপরাধের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়া হতাশাজনক। আমরা সব সময়ই বলে আসছি, এই মামলাগুলো বিশেষ মামলা। একটি দেশের ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সারা জীবন থাকবে না। এই মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই নিষ্পত্তি করা উচিত। এর আগে গত ১০ জুলাই আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। আদালতে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ১৮ জুন আপিলের শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে এডভোকেট অনরেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল। পরে ১ জুলাই থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন তাও প্রমাণিত হয়েছে রায়ে। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App