রাজধানীর শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করেছে শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কিডস টাইম এবং ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। তিন থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সৃজনশীলতা ও ভবিষ্যত দক্ষতা উন্নয়নে সচেতন করতে প্রতিষ্ঠান দুটি আয়োজন করেছে ইভ্যালি-কিডস টাইম মেলা-২০১৯।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রায় এক হাজার শিশু ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন লাইট অব হোপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়া।

মেলায় মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুইটি জোন। তিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের জন্য জোন-১ এবং সাত থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য জোন-২। এসব জোনে অভিভাবক না বরং শুধু শিশুরাই প্রবেশ করতে পারবে। বয়স উপযোগী বিভিন্ন গেমস ও অ্যাক্টিভিটি দিয়ে এসব জোনে শিশুরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিচরণ করতে পারবে।

আয়োজকরা বলেছেন এই মেলায় শিশুরা ক্রাফট, সৃজনশীল ডিজাইন, পাপেট তৈরি করা, ছবি আঁকা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করবে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে আছে শিশুদের জন্য গেমস, ডিজাইন করার জায়গা, শিশুরা বড় হয়ে কি হতে চায় সেই গল্প লেখার জন্য ‘বড় ইচ্ছে ঘর’। মূল মঞ্চে আছে শিশুদের জন্য পাপেটের সঙ্গে আনন্দ নৃত্য, ম্যাজিক শো এবং পাপেট শো।

মেলার আয়োজকরা জানান, ইভ্যালি কিডস মেলা দেখিয়েছে যে যখন কোনো শিশুকে তার উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া হয় তখন তার ভেতরের সত্যিকারের সৃজনশীলতা বের হয়ে আসে। যেকোনো শিশুর মধ্যেই যে সৃজনশীলতার বীজ রোপিত আছে এবং প্রতিটি শিশুর ক্ষমতা আছে বড় কিছু করার, তার বড় একটি নিদর্শন হয়ে থাকল এই মেলা।

শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী মেলার ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। যান্ত্রিক এবং প্রতিযোগিতার বাজারে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।

এ আয়োজনে অভিভাবকরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলায় এসেছেন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- গুফি, বাবুল্যান্ড, ইয়োডাসহ আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, দুইদিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।