কোনোদিনও জানবে না
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম
বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠে বিস্মরণের হাতছানি
সুরের রাহাজানিতে ভাঙা সাঁকো পাখির মতো
উড়ে যেতে চায় দিগন্তে, এই জনপদে জনপথে
অহংকারের মুকুটে লাগিয়ে সুবর্ণ পালক গুঁজে অনেকে
কোথাও কোনো বিষাদ নেই, কীর্তনে নেই সারেঙ্গির হাহাকার
বৃষ্টি অশ্রু মুছে দেয় পরম মমতায়, শ্যামল পৃথিবীতে
মাতাল করা দমকা বাতাসে রঙিন উত্তরীয় দুলে ওঠে
শ্রান্ত শ্রমিক শুতে আসে নদীতীরে
আকাশের গায়ে খোঁজে হারিয়ে যাওয়া পাখি
স্বপ্নের আরাধ্য দেবী নেমে আসে হাজার তারায়
পরিত্যক্ত খাতাগুলো শুভ্র বসনে কফিনে ঘুমায়
কোজাগরি রাতে মনপবনের নাও বেয়ে
অর্থহারা নদী বুকে ভাসতে চায়, গান শোনায়
কোন গান বাজে সীমান্তে, পাহাড়ায় থাকে নীল পেয়াদা
দিনক্ষণ গোনে সযত্নে রাখা পাখির তরে খড়কুটো জমায়
গভীর অরণ্যে পালিয়েও ঋণ পরিশোধ হয় না
বাস্তুসাপের গেরস্থালির পাঠ অধরা থেকে যায়
কথার পিঠে কথা সাজিয়ে কথা সাজায়
পাড়া মাতিয়ে রংবেরঙের নাটক বানায়
নেচে কেঁদে মঞ্চ কাঁপায়, আলো জ¦ালায়
কোনোদিনও জানবে না
কতরকমের মেলা বসে নদীতীরে
মৃৃতেরাও তালবাদ্যি শোনে, নবজাতকের জন্য
প্রার্থনায় আগামীর জয়জয়ন্তীর ধান ভানে