×

সাময়িকী

কালিদাস কর্মকার : চিত্রকর্মে আন্তর্জাতিকতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম

কালিদাস কর্মকার : চিত্রকর্মে আন্তর্জাতিকতা

সমকালীন চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার। কিশোর থেকে চিত্রশিল্পকে ভালোবেসে আঁকাআঁকি শুরু করেন। আশেপাশের গাছের গুঁড়ি কাঠ কড়ি শামুক সযত্নে তুলে নিয়ে শিল্পের কোরকে রূপ দিতেন। অবহেলা অযত্নে পড়ে থাকা জিনিসকে শিল্পে রূপ দিয়ে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা তাঁর নেশা হয়েছে বলেই শিল্পের শেকড় থেকে শেখরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। যিনি পাললিক চিত্রকর্মে প্রয়াসী হলেও সমকাল এবং আবেদনময়ী চিত্রকর্মে অনন্য ছিলেন। তাঁর চিত্রশিল্পে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য স্পষ্টতর। প্রজন্মকে ধারণ করার ক্ষমতাও প্রবল। চিত্রাঙ্কনে মূল বিষয় মনোনিবেশী হওয়া তিনি কত নিবিড়প্রাণ স্থাপন করেন তা তাঁর চিত্রাঙ্কনকালীন স্টাইল, স্থিরভাব ও দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে। দেশ পেরিয়ে বহির্বিশ্বের দিকে চোখ তাক করেছেন। বিশেষ করে ইউরোপীয় শিল্পকর্মে প্রবল আগ্রহ ছিল বলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিবেচিত হয়েছেন এবং প্রিয়ভূমিতে স্বীকৃত হয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক ভূগ্রহে। বৈশ্বিক চিন্তা-চেতনার শিল্প বুননের কারণে তিনি হয়েছেন আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী। বিশেষভাবে ধরা দেয় জাদুকরী শিল্পকর্ম। প্রদর্শনীজুড়ে থাকে দর্শকের নিবিড়দৃষ্টি। দর্শক কী তাহলে অভিন্ন সত্তা খুঁজে পায় তাই মনে হয়। কারণ শিল্পগুণ শিল্পের উত্তীর্ণ সময় থেকে বাংলার জল হাওয়া মানুষ এবং সমাজ-সংস্কৃতিকে ধারণ করে যুগপরম্পরা বাঙালি চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন, কাইয়ুম চৌধুরী, কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, হাশেম খান, সাহাবুদ্দীন আহমেদ তাদের সমকালে চিত্রের জগৎ নির্মাণে সাহস ও চিত্রকর্মশৈলী মনোভাব দেখিয়ে দাবড়ে বেড়িয়েছেন। কালিদাস কর্মকারও তাঁর চিত্রকর্মে বরাবর স্বাক্ষর রেখেছেন। শিল্পীর পরিচয় তার স্বতন্ত্রকর্মে, যাতে তিনি পরিচিত হবেন। এ ধারাটি রয়েছে বলেই দর্শকশ্রেণি চোখের পলকে অকপটে স্বীকার করেন এটি কালিদাস কর্মকারের শিল্পকর্ম। আত্মানুসন্ধানী মানুষেরা প্রকৃতি ইতিহাস-ঐতিহ্যের পথে হেঁটে সৃজনশীল মননে আবিষ্কার করেন শিল্পকলা। সে পথ বহুকালে বহুজনের। শিল্পনিদর্শনের দেখা মেলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণের আবিষ্কারের মাধ্যমে। প্রাচীন যুগের অঙ্কন ছিল গুহাচিত্র পশুর হাড় শিং দিয়ে নির্মিত মানুষ ও জীবজন্তুর মূর্তিসহ বিবিধ শিল্পকর্ম। ধারণা করা হয় ৩০ হাজার বছর আগে শিল্পকর্মের উদ্ভব হয়েছিল। তখন থেকেই শিল্পের প্রসার ঘটে। পৃথিবীর মানুষের জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে প্রকৃত শিল্প। সে শিল্পকে অসাধারণ ব্যক্তিপ্রাণ সততা একাগ্রতা সাধনার মাধ্যমে নিবিড়চর্চায় প্রতিকৃতির মাধ্যমে তুলে আনেন। বৈশ্বিক শিল্পকর্মের সাথে দেশীয় প্রকাশবাদী শিল্পীরা নানামাত্রিক আঙ্গিক বৈশিষ্ট্যে আত্মানুসন্ধানের পথে হাঁটেন। আমাদের বহুবিধ সমস্যা রয়েছে তা সত্ত্বেও পূর্বসূরিদের চেতনাকে উপলব্ধি করে এঁকেছেন গড়েছেন শিল্পের জগৎ। শৈল্পিক পারদর্শিতা না থাকলে কোনোকালেও তা সম্ভব নয়। তিনি সে পথের সফল সারথি বাংলাদেশের বিমূর্ত চিত্রকলা কখনো দেশীয় কখনো আন্তর্জাতিক রূপরেখায় বহুমাত্রিক শিল্পকর্মের ক্যানভাস তৈরি করেছেন। স্বতন্ত্রধারার চিত্রশিল্পী তিনি। বাংলাদেশের সত্তর দশকে যে ক’জন শিল্পী নিজস্ব শৈল্পিকগুণ প্রদর্শন করেছেন তাদের মধ্যে তিনি সফল ও অন্যতম। ব্যক্তিত্বে সুমহান এবং গতিশীল। শিল্পকর্মে স্বতঃস্ফূর্তভাব ও সমকালীন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল বলে প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। সমসাময়িক শিল্পীরা যখন নিজেদের আড়াল করেছেন তিনি তখন নিজস্ব শৈল্পিকগুণ উপস্থাপন করে নিজেকে মেলে ধরেন। কাজের পরিধি ব্যাপ্ত করা এবং মৌলিক ধারা সন্ধানে হেঁটেছেন। যেখানে প্রথাগত শিল্প দর্শককে টেনে ধরেন তিনি সেখানে সম্পূর্ণ নতুন উপায় ও বিষয় অবলম্বন করে স্বকীয় অবস্থান তুলে ধরেন। তাঁর ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম কোলাজ পেইন্টিং যা দর্শককে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। এছাড়াও ছাপচিত্র ছিল তাঁর চিত্রকর্মের মাধ্যম। তিনি লোকজ মোটিফ এবং প্রতীকের সমন্বয়ে গ্রামীণ কৃষ্টি কালচার, ইতিহাস ও ঐতিহ্য আঞ্চলিক প্রথা প্রাচীন জীবনবোধ দেহ ও মনের সমন্বয় সাধন করে উপস্থাপন করেছেন। ব্যক্তি কালিদাস কর্মকার শিল্পের মাধ্যমে মেলবন্ধন ও ইচ্ছাকে জাগ্রত করেছেন। সাহসী চিত্রশিল্পী তিনি। সমকালের সাথে শিল্পীসত্তাকে তুলে ধরতে হয় তিনি অতীতকে ধারণ করে বর্তমানের ওপর বসে ভবিষৎ চিন্তা করেছেন। সমকালের শিল্পীদের গড়পড়তা শিল্পচর্চাকে ডিঙিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সমকালের সাথে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। যে অঞ্চল এবং বিষয় তাঁর মননে এসেছে তাই রঙের মিশেলে তুলির আঁচড়ে বহুমাত্রিক উপাদানে তুলে ধরেন। বৈচিত্র্য আনয়নে তাঁর শিল্পকর্ম ভিন্ন অনুভূতির এবং স্বতন্ত্র নির্মাণশৈলিতায় পরিপূর্ণ। কী অসাধারণ ভিন্নতার স্পর্শ কড়ি, তাবিজ-কবজ, রাখি ও কায়তন প্রভৃতি শিল্পের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার। বলা চলে তিনি শত বৈচিত্র্যের ধারক ও বাহক। শিল্পচর্চায় দার্শনিক প্রবণতা পরিদৃশ্যমান। যেখানে শিল্পীদের উঁচু মানসিকতা, রং বাহারি মনোভাব সেখানে তিনি তুচ্ছ ও ফেলনা জিনিসের প্রতি দর্শকের আকর্ষণ তৈরি করে দার্শনিক মননের পরিচয় দেন। যা তাঁর শিল্পের উপকরণ হিসেবে দৃশ্যমান। চিন্তা মানুষের স্বভাবজাত, কালের বিবর্তন, সূত্রপাত ও জীবন জিজ্ঞাসা তিনটি বিষয়কে ধারণ করে যে কোনো শিল্পীমন তার জগৎকে তুলে ধরেন। শিল্পীদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চিন্তা দুটো উপায়ে হতে পারে- শিল্পকর্মের মাধ্যমে অপরটি স্বতন্ত্র উপস্থাপন। শিল্পকর্ম তো জগতের নানামাত্রিক উপায়ে অনেকেই করেন। সবার কাজের ধরন এক হলে সাধারণ শ্রেণির মাঝে মূল্যায়ন হলেও বোদ্ধা ও শৈল্পিক বিবেচকদের কাছে মূল্যমান সীমিত। মূল্যায়ন পেতে কাজের মাধ্যমের পাশাপাশি চিন্তাকে প্রোথিত ও শাণিত করতে হয়। তাতে দুটো লাভ সংযোজিত হয় দর্শকের ভালোবাসা ও মননশীলতা। দর্শকের চেতনাকে জাগ্রত ও স্ফুরণ করতে শিল্পের ভাষা শক্তিশালী হতে হয়। তাঁর শিল্পকর্মে দৃশ্যভাষা ব্যবহারই স্বতন্ত্র চিন্তার প্রকাশ। নিজেকে শিল্পী হিসেবে উপস্থাপনের চেয়ে শিল্পকর্ম উপস্থাপন বেশি আবেদনময়ী হয়েছে। শিল্পচর্চা ও কর্মের কলাকৌশল নির্ধারণ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাতে তিনি দার্শনিক শিল্পসাফল্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাললিক বাংলা শিল্পের রূপকার তিনি। পাললিক অর্থ হলো পলল বা পলিমাটি সংক্রান্ত। পলিবিধৌত দেশ বাংলাদেশ। বহুকাল থেকে দেশের নদ-নদী বাহিত হয়ে আসছে। পলিমাটির সৌরভে সুশোভিত হয়ে বাংলার দো-চিপা রূপ নিয়েছে নতুন নতুন রূপবৈচিত্র্যে। কল্পনার ভেলায় ভেসে বেড়িয়েছেন শিল্পীসত্তারা। কারো শব্দের বুনন কারো তুলির আঁচড় কারো কণ্ঠশৈলী সবমিলিয়ে প্রকাশের সাধনা ও মাধ্যম। তাঁর শিল্পকুশলতা প্রকাশ পেয়েছে চিত্রের বুননে। তাই গ্রামবাংলার জীবন-জীবিকার পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক অঙ্কুরোদয় বীজ-উদ্ভিদ, আচার অনুষ্ঠানও চিত্রশৈলীতে উপস্থাপিত হয়েছে। গ্রামবাংলা থেকে শিল্পে নানান মাত্রিকতা সময়ের দাবিদার। সময়ের বিবর্তনে চারুশিল্পের দৃশ্য ব্যঞ্জনায়, উপাদানের সংমিশ্রণে বাঁকবদল হয়েছে। পরিবর্তনের হাওয়ায় কালিদাস কর্মকার তৈরি করেছেন নিজস্ব ক্ষেত্র এবং জগৎ। তাঁর শিল্পকলায় দেশীয় উপাদানের সংযুক্তি বিদ্যমান। বহু বছর ধরেই পাললিক বাংলা চিত্রধারণ করে শিল্পের ক্যানভাসে শৈল্পিকটান দিয়েছেন। ঢাকার প্রগতি স্মরণি গ্যালারি অ্যাথানায় ‘পাললিক অনুভব’ শিরোনামে একক চারুকলা প্রদর্শনী হয়েছে। এটি ছিল তাঁর একাত্তরতম একক প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিনি সমকালীন চিত্রকলায় নতুনমাত্রা আনয়ন করে দর্শককে দিলেন ভিন্নমাত্রার শিল্পের নির্মিত অনুভূতি। তাঁর পাললিক সিরিজ হচ্ছে- পাললিক অনুভব, পাললিক আত্মা, পাললিক মৌনতা, পাললিক অবয়ব, পাললিক মাত্রা, পাললিক ছন্দ, পাললিক উৎসব, পাললিক স্মৃতি, পাললিক অমত্মদৃষ্টি, কোমল হাতের স্পর্শে মর্মস্পর্শী চিন্তনে দক্ষতার কারুকার্যে চিত্রকর্ম দৃশ্যমান করেছেন।

আবেগ ও অর্জনের সংখ্যা ৭১’। শব্দটি বাংলা ও বাঙালির নতুন অধ্যায়ের সংযোজনের ইতিহাস। সংখ্যাটি উচ্চারিত হলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মননে নিত্যনতুন ভাবনা জাগ্রত হয়। প্রসারিত হতে থাকে অর্জনের জগৎ। জীবন সংগ্রামের বিনিময়ে নির্মিত বাংলাদেশের রূপরেখাকেও বহন করে। তাই চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকারের মননে শিল্প বৈচিত্র্যের মাধ্যমে একাত্তর শব্দটি জন্মদিনের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে নতুন মাত্রা পায়। শ্যামল বাংলার আলো হওয়ায় এবং পদ্মা পাড়ের নিবিড়তায় তাঁর জন্ম। তিনি ১৯৪৬ খ্রি. ফরিদপুর নিলটুলি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হীরালাল কর্মকার, মাতা রাধারাণী কর্মকার। ১৯৬২-৬৪ খ্রি. ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট কোর্স সমাপ্ত করে ১৯৬৯ খ্রি. কলকাতা সরকারি আর্ট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১৫ খ্রি. ছিল তাঁর একাত্তরতম জন্মদিন। জন্মদিনকে রাঙিয়ে তিনি আঁকলেন একাত্তরটি ছবি। প্রদর্শনের জন্য নির্ধারণ করা হলো গ্যালারি, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্লাজার মিলনায়তন। শিরোনাম দেয়া হয়েছিল পাললিক রেখা। উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি কলাকুশলী শিল্পমননের মানুষেরা। বাদ্যযন্ত্রের সুরে সুরে তার রেখার বুনন শুরু হয়। উপস্থিত শিল্পরসিকদের কাছে তাঁর অসাধারণ শিল্পদক্ষতাও দৃশ্যমান। তাঁর শিল্পের জগৎতে আধ্যাত্মিকতা ও নান্দনিকতাও উপলব্ধ হয়। সংকোচ ও সংশয়কে উপেক্ষা করে দেশের ঐতিহ্য, রবীন্দ্রনাথের মুখ, আত্ম প্রতিকৃতি, বাঙালির সুখ-দুঃখের লিপিফলক। দেখা মেলে এবং প্রতিটি চিত্রকর্ম দর্শককে অভিভূত করে। একাত্তর সংখ্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন- ‘একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছিল, একাত্তর শব্দটি বাঙালির জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। বিভিন্ন দেশে ছবি এঁকেছি, ঘুরে বেড়িয়েছি। একাত্তর শব্দটি সবসময়ই আমার হৃদয়ে বেজে উঠে এক অনন্য অবয়ব বাংলার মুখ।’ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী তিনি। শিল্পের জগৎতের সীমাবদ্ধতা নেই, শিল্পীকে সেই জগৎ তৈরি করতে হয়। যে ধারার শিল্পী হন না কেন তাঁকে তাঁর শিল্পকর্মের দক্ষতা পরিবেশন করেই শিল্পী পরিচয় দিতে হয়। সাহিত্যে ও আর্টে বাঙালির পরিচয় বিপুল সম্ভাবনার দাবি রাখে। বিশ্বায়নের যুগে দেশে মহাদেশে ও উপমহাদেশে শিল্পের বিস্তার শিল্পীদের কাজ। তাতে দেশের ভাবমূর্তি ও সমাজ-সংস্কৃতি জীবনপদ্ধতি নানানভাবে জানান দেয়া সম্ভব হয়। আমাদের তুলনায় ইউরোপে শিল্পের প্রসার বেশি। ধীরে ধীরে বাঙালি শিল্পীদের বিচরণও চোখে পড়ছে। তাদের শিল্পকলা আমাদের দেশীয় শিল্পীমননকে স্পর্শ করছে। কালিদাস কর্মকারকে যেমন স্পর্শ করেছে ইউরোপীয় শিল্পশৈলী। তাঁর শিল্পকর্মে ইউরোপীয় ছাপ, রেখাচিত্র বিদ্যমান রয়েছে তাই তাঁকে ইউরোপীয় আধুনিক ঘরানার শিল্পী মনে করা হয়। দেশে-বিদেশে তাঁর ৭১টির মতো একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে। দলগত প্রদর্শনীতেও তাঁর বিচরণ ছিল অন্যরকম। সবখানে তিনি তাঁর কৃতিত্বের জন্য প্রশংসিত এবং সম্মাননা পেয়েছেন। ভারত, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান এবং আমেরিকায় সমকালীন উপায়ে শিল্প সুষমায় কাজ করেছেন। ১৯৭৬ খ্রি. থেকে উচ্চতর ফেলোশিপ নিয়ে (ফ্রিল্যান্স) শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিত্রকর্মের উপকরণ পরিবেশের নানান বিষয় হলেও পাথর, কড়ি, প্রবাল, লাভাখণ্ড, পোড়াকাগজ, মুক্তা, কোরাল, কাচ প্রভৃতি। এ কারণেই তিনি দেশি-বিদেশি চিত্র উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক শিল্পী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App