×

জাতীয়

কাঠগড়ায় উত্তেজিত আসামিরা, বিমর্ষ সিরাজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৩ পিএম

কাঠগড়ায় উত্তেজিত আসামিরা, বিমর্ষ সিরাজ
কাঠগড়ায় উত্তেজিত আসামিরা, বিমর্ষ সিরাজ
সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় শুনে আসামিরা কাঠগড়ায় উত্তেজিত হয়ে চিৎকার চেচামেচি করেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনেকের চোখে মুখেই ছিল অনুতাপ আর বিষণ্ণতার ছায়া। পুরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে দেখাচ্ছিল খুব বিমর্ষ। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টা ২১ মিনিটে মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিরা দাঁড়িয়েছিলেন কাঠগড়ায়। শুনছিলেন রায় পড়া। বিচারক ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের চুম্বক অংশ পাঠ করেন। রায় পড়ার সময় আসামিরা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। রায় পড়া শেষ হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই উত্তেজিত হয়ে পড়েন আসামিরা। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ জানান উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তাঁরা। আসামিরা এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। পরে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বিচারক বেলা ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে রায় পড়া শুরু করেন। এসময় ১৬ আসামিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এর আগে সকাল পৌন ১১টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। আসামিরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App