×

জাতীয়

মাকে ফিরে পেল সেই নবজাতক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৯ এএম

মাকে ফিরে পেল সেই নবজাতক
অবশেষে পঞ্চগড় শহরে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটির মা রিমুকে খুঁজে পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সোমবার হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে রিমুর কাছে তুলে দেন। তবে রিমু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলার কারণে তাদের আপাতত হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। নবজাতককে দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রিমুর মা শিল্পী আক্তার ও বাবা আইবুল ইসলামকে। শহরের কামাতপাড়া মহল্লার অশোকচন্দ্র মোদকের বাড়ির সামনে থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়। এক মাস বয়সী শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, প্রথমে শিশুটির বয়স এক মাস ধারণা করা হলেও তার বয়স মাত্র ১৬ দিন বলে নবজাতকের মা রিমু আক্তার জানিয়েছেন। স্বামীর সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে এবং দত্তক দিতে ব্যর্থ হয়ে রিমু সন্তানকে ফেলে যান বলে জানান জেলা প্রশাসক। তবে রিমু এখন তার সন্তানকে ফিরে পেতে চান। কয়েক দিন রিমুর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে এবং চিকিৎসকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড়ের আইবুল ইসলামের মেয়ে রিমু। তার নানা বাড়ির এলাকা কামাতপাড়া মহল্লায় শিশুটিকে ফেলে গিয়েছিলেন তিনি। রিমুই যে নবজাতক মেয়েটির মা তা তারা নানাভাবে নিশ্চিত হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান। রিমুকে খুঁজে পাওয়ার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এলাকার পেয়ারা মজুমদারসহ কয়েকজনের কাছে দত্তক দিতে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে ফেলে যান রিমু। সে সময় তার সঙ্গে সাড়ে চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান ছিল। ছেলেকে নিয়ে রাতে ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে অবস্থানকালে কাঁদতে দেখে আটোয়ারী উপজেলার মালিগাঁওয়ের আব্দুল খালেক ও আলেমা খাতুন দম্পতি রিমুকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেন। সেখানে গিয়েও নবজাতক সন্তানের জন্য কান্নাকাটি করতে থাকেন রিমু। ওই দম্পতি বিষয়টি পুলিশকে জানালে আমরা গত সোমবার ওই নারীকে উদ্ধার করি। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনসহ তারা হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে রিমুর কাছে তুলে দেন। রিমু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলার কারণে তাদের আপাতত হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। নবজাতককে দেখভালের দায়িত্ব রিমুর মা শিল্পী আক্তার ও বাবা আইবুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। নবজাতকটি সুস্থ আছে জানিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মঈন খন্দকার বলেন, এত দিন ধরে অন্য মায়েরাই শিশুটির যত্ন নিয়েছে ও খাবার দিয়েছে। এখন তার মা-ই এসব দায়িত্ব পালন করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App