বিদেশী মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত একটি প্রতারক চক্র। এমনই প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো আবু সাঈদ (৩২), মামুন হোসাইন (৩০), হাবিবুর রহমান (৩৭), মাসুম হোসেন (২৯) ও মামুন শরীফ (৩৪)।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গুলশান থানার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর মো. ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার আলফা লজিস্টিকস লি. প্রতিষ্ঠানের দেড় লাখ টাকা প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখা থেকে উত্তোলন করে অফিসে যাচ্ছিলেন। তিনি গুলশান-১ পৌঁছালে পথিমধ্যে একজন সিএনজি চালক তাকে স্যার সম্বোধন করে ডাক দেয়। তিনি সিএনজি চালকের ডাকে সাড়া দিলে চালক তাকে ওমানের কিছু নোট দেখায় এবং এগুলো কোথায় ভাঙ্গাতে পারবে জানতে চায়। তখন পাশে দাঁড়ানো এক যুবক সিএনজি চালকের নিকট থেকে নোটগুলো নিয়ে মোবাইল ফোনে হিসাব করে জানায়, নোট গুলোর অনেক দাম। ওই যুবক সিএনজি ড্রাইভারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় একটা নোট ক্রয় করে।

এরপর আরো একজন লোক সিএনজি চালকের কাছে এসে ১৪টি ওমানের নোট তার মোবাইল ফোনে হিসাব করে বলে, নোটগুলোর মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকা হবে। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি ইসমাইল হোসেনকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি চালকের কাছে থাকা ১৪টি ওমানের নোট দিয়ে দেড় লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত সিএনজিতে উঠে পালিয়ে যায়। তাদের আচরণ সন্দেহ হলে ইসমাইল হোসেন উক্ত সিএনজির নম্বরটি মুখস্ত করে রাখে। পরে তিনি মানি এক্সচেঞ্জের দোকানে গিয়ে জানতে পারেন ১৪টি ওমানের মুদ্রার মুল্য মাত্র ১০০০ টাকা। এ বিষয়ে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়।

মামলা দায়েরের পর রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিএনজি চালক আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার হেফাজত থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ অক্টোবর রাতে লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্য মামুন হোসাইন, হাবিবুর রহমান, মাসুম হোসেন ও মামুন শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানা যায়, তারা পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিসহ অবস্থান নিয়ে টাকা বহনকারী সহজ সরল ব্যক্তিকে টার্গেট করে কৌশলে তাদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ওমানের নোট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত।