মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন নতুন প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এমন একটি সময়ে কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত বিনিয়োগ, ন্যায্য প্রতিযোগিতার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং যেসব নীতি ও মূল্যবোধ বাংলাদেশের লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধিকে সম্ভব করেছে সেগুলো জোরদারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে একত্রে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রদূত সিলেটের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, রাতারগুলের মতো বাস্তুসংস্থানগুলো সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। কারণ এগুলো বিভিন্ন সংরক্ষিত প্রজাতির আবাসস্থল এবং মানুষকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার মতো পরিবেশগত সেবা দেয়। তিনি সংরক্ষিত অঞ্চলগুলোর সুরক্ষায় নেতৃত্বদানকারী যৌথ পরিচালনা কমিটিগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি সিলেটের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে মার্কিন কোম্পানি শেভরনের বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, শেভরনের মতো আমেরিকান কোম্পানিগুলো কেবল যে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নয়, এ দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতেও একটি বড় বিনিয়োগকারী হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আরো বলেন, শেভরন স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত শেভরন এবং অন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এতে ক্রমেই আরো বেশিসংখ্যক লোকের সঙ্গে সমৃদ্ধি ভাগ করে নেয়া যাবে এবং আমাদের উভয় দেশই উপকৃত হবে। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ ও সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।