×

জাতীয়

রংপুরে চালের উৎপাদন বেড়েছে ১১ হাজার টন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০২ এএম

রংপুরে চালের উৎপাদন বেড়েছে ১১ হাজার টন
উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় রংপুর অঞ্চলে দিন দিন বেড়ে চলেছে আউশ ধানের আবাদ। এতে করে কৃত্রিম সেচ না দিয়ে বৃষ্টিনির্ভর আউশ ধান আবাদে অভাবনীয় সাফল্যও অর্জন করেছে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফলে গত এক বছরে জেলায় চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার টন। মূলত, বছরের এপিলের শেষ সময় থেকে মে, জুন, জুলাই মাসে আউশের আবাদ হয়ে থাকে। সে হিসাবে চলতি ২০১৮-১৯ মৌসুমে রংপুরে আউশের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৫০ হেক্টর বেশি। গত বছর রংপুর জেলায় ২০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়। এবার রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আউশ আবাদ হয় প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া সরকারিভাবে আউশ প্রণোদনার আওতায় ৪ হাজার ৫৫১ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়। অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে এ বছর মেট্রোপলিটন এলাকায় আউশ আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫০, কাউনিয়ায় ২ হাজার ৮৫৫, গঙ্গাচড়ায় ৪ হাজার ৩৫০, পীরগাছায় ৩ হাজার ৮০০, মিঠাপুকুরে ২ হাজার ৫০৫, পীরগঞ্জে ২ হাজার ১৫০ ও বদরগঞ্জে ১ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এ থেকে চাল উৎপাদন হয়েছে ৭৪ হাজার ১৩১ টন। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৯৫ টন। গত বছর ২০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমির ধান থেকে চালের উৎপাদন হয়েছিল ৬৩ হাজার ১৪৩ টন। অর্থাৎ ১ বছরে আউশের উৎপাদন বেড়েছে ১০ হাজার ৯৮৮ টন চাল। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম জেলায় ৮ হাজার ৪১০, গাইবান্ধা জেলায় ১০ হাজার ৬৩০, লালমনিরহাট জেলায় ১১ হাজার ২৫ ও নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। আউশ ধান বৃষ্টিনির্ভর হওয়ায় সেচ বাবদ কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক কমে গেছে। তেমনি ভ‚গর্ভস্থ পানির ব্যবহারও দিন দিন কমছে। আউশ ধান চাষ করতে কোনো সেচ দিতে হয় না। বৃষ্টির পানি দিয়েই চাষ করা যায়। অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হয় না। সেই সঙ্গে আউশ ধান ক্ষেতে ধঞ্চে গাছ রোপণ করলে সেখানে পাখি এসে বসে। ফলে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। তা ছাড়া রাসায়নিক সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচও হয় অনেক কম। সেই সঙ্গে মাত্র ৯০ দিনে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকরা অতিরিক্ত ১৬ থেকে ১৮ মণ চাল পাচ্ছেন। ফলে কৃষকরা আউশ ধান চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে করে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে কৃষকদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সরওয়ারুল আলম জানান, কম পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহার ও সেচ ছাড়াই আউশ ধান আবাদ হওয়ায় রংপুর অঞ্চলে আউশ চাষে কৃষক উৎসাহিত হচ্ছেন, যা খুবই ভালো লক্ষণ। সেই সঙ্গে ব্রি-৪৮ এর মতো আরো উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হলে আউশ চাষে কৃষক উৎসাহিত হবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App